শনিবার দুবাইয়ে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রৗলংকাকে ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
ধুকতে ধুকতে শ্রীলংকার মোট সংগ্রহ ১২৪ হলেও তা একা মুশফিকের ব্যক্তিগত রানেরও সমান হয়নি। কারন মুশফিক খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের (১৫০ বলে) দুর্দান্ত ইনিংস। এতে রয়েছে ৪টি ছয় এবং ১১টি চারের মার।
আরেক ব্যাটসম্যান মিঠুন দলের বিপর্যয়ের সময় ব্যাটিং শুরু করে নিজের ক্যারিয়ারের পাশাপাশি দলের অবস্থানও করেছেন সুসংহত। তার ৬৮ বলে ৬৩ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটিতে রয়েছে ২টি ছয় এবং ৫টি চারের মার।
অন্য ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়ার মিছিলে থাকলেও মুশফিক ও মিঠুন ছিলেন ব্যতিক্রম। তাদের শতরানের জুটি দলকে পৌঁছে দিয়েছে শক্ত ভিত্তিতে।
এর আগে খেলার প্রথম ওভারেই লাসিথ মালিঙ্গার বোলিং তোপে ফিরে যায় ওপেনার লিটন কুমার দাস এবং টাইগারদের অন্যতম ভরসা সাকিব আল আসান।
বিপর্যয় এখানেই থেমে থাকেনি, পরের ওভারেই হাতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর মাঠে আসেন মোহাম্মদ মিঠুন।
খেলা চলার সময় সাজঘরের বারান্দায় হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় দেখা যাওয়া তামিম ম্যাচের শেষ মুহূর্তে সবাইকে অবাক করে দিয়ে মুশফিককে সঙ্গ দিতে আবারো মাঠে নামেন। এক হাতে ব্যাট ধরে সিঙ্গেল নিয়ে মুশফিককে দিয়ে খেলান বাকিটা সময়।
দলের নয় নম্বর ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজ আউট হয়ে যাওয়ার পর দলের সংগ্রহ তখন ২২৯ রানে থেমেছিল। তামিমকে একপাশে রেখেই একা মুশফিক সেখানে যোগ করেছেন আরো ৩২ রান। সবশেষে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০ উইকেটে ২৬১ রান।
জবাবে শুরু থেকেই ঝড় তুলেছিলেন শ্রীলংকার উপুল থারাঙ্গা। কিন্তু ঝড়ে লন্ডভন্ড হওয়ার আগেই তবে আরেক পাশে কুসল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন মুস্তাফিজ।
এরপর থেকে আর শঙ্কায় পরতে হয়নি টাইগারবাহিনীকে। মাশরাফি, সাকিব, রুবেলদের বোলিং তোপে যাওয়া আসার মিছিলেই ছিল লঙ্কানরা।
এর আগে শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চতুর্দশ এশিয়া কাপের ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং নেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
বাংলাদেশের অন্যান্যদের স্কোর: তামিম ২(৪)*, লিটন দাস ০ (৪), সাকিব আল হাসান ০(১), মাহমুদুল্লাহ ১ (৪), মোসাদ্দেক হোসেন ১(৫), মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫(২১), মাশরাফি মোর্তূজা ১১(১৮), রুবেল হোসেন ২(১২) এবং মুস্তাফিজুর রহমান ১০(১১)।
প্রসঙ্গত, গত টানা তিনবার এশিয়া কাপ আয়োজন করা বাংলাদেশ ২০১২ সালে ৫০ ওভারের সংস্করণে এবং ২০১৬ সালের টি-২০ সংস্করণে ফাইনাল খেলেছিল। তবে প্রতিবারই শিরোপা অধরা থেকে যায়।