সেই সাথে তারা ৬০ বছর বয়সী ফুটবল তারকার মৃত্যুর ঘটনায় চলা তদন্তের অংশ হিসেবে চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসার নথি নিয়ে গেছে।
তল্লাশি শেষে নিওরোলজিস্ট লিউপল্ডো লুকি সাংবাদিকদের জানান, তিনি ম্যারাডোনার চিকিৎসা সংক্রান্ত সব নথির পাশাপাশি কম্পিউটার, হার্ড ড্রাইভ ও সেলফোন পুলিশকে দিয়েছেন।
মস্তিষ্কে ৩ নভেম্বরের অস্ত্রোপচারের পর বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ম্যারাডোনা।
কান্নারত চিকিৎসক লিউপল্ডো বলেন, ‘আমি জানি আমি কী করেছি। আমি জানি কীভাবে আমি তা করেছি...আমি পুরোপুরি নিশ্চিত যে আমি যা করেছি সেটাই ছিল ডিয়েগোর জন্য সর্বোত্তম, সেটাই ছিল আমার সর্বোত্তম চেষ্টা।’
লিউপল্ডো জানান, তিনি ম্যারাডোনার প্রধান চিকিৎসক ছিলেন না, বরং চিকিৎসকদের একটি দলের অংশ ছিলেন।
মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনার পাওয়া চিকিৎসা নিয়ে একটি তদন্তের দেখভাল করছে সান ইসিদ্রোর প্রসিকিউটরের কার্যালয়।
ম্যারাডোনার গুরুতর শারীরিক সমস্যা ছিল। এর কিছু ছিল অতিরিক্ত মাদক সেবন ও মদ পানের কুফল। তিনি ২০০০ এবং ২০০৪ সালে প্রায় মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন।
লিউপল্ডো জানান, ম্যারাডোনা ছিলেন বেয়াড়া রোগী এবং তিনি কয়েকবার তার বাড়ি থেকে চিকিৎসকদের তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
‘ডিয়াগো যা চাইত তা করত। ডিয়াগোর সাহায্যের দরকার ছিল। কিন্তু তার কাছে যাওয়ার কোনো উপায় ছিল না,’ বলেন লিউপল্ডো।