টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান এসেছে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে। সেই সাথে নাজমুল হোসেন শান্ত (৪৪), লিটন দাস (৩৩), অধিনায়ক মুমিনুল হক (৩০), মাহমুদউল্লাহ (২৫) ও তাইজুল ইসলাম (২৪) ছাড়া আর কেউ বলার মতো কোনো অবদান রাখতে পারেননি।
শুক্রবার পাকিস্তান সময় সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই বিপদে পড়েন সফরকারীরা। ইনিংসের প্রথম ১০ বলের মধ্যে দুই ওপেনারের উইকেট হারায় মুমিনুল হকের দল। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে স্লিপে আসাদ শফিককে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এ টেস্টে অভিষেক হওয়া সাইফ হাসান।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) ট্রিপল সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবাল মাত্র ৩ রান করে মোহাম্মদ আব্বাসের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন।
এ অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলেন মুমিনুল ও শান্ত। তাদের জুটি থেকে আসে সর্বোচ্চ ৫৯ রান। পরে শাহীনের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ধরা পড়ে মুমিনুল বিদায় নিলে হাল ধরতে আসেন মাহমুদউল্লাহ। এবার ৩৩ রানের জুটি করে আব্বাসের বলে ক্যাচের শিকার হন শান্ত।
পঞ্চম জুটিতে মাহমুদউল্লাহ ও মিঠুন যোগ করেন ১২ রান। পরে লিটনকে সাথে নিয়ে ৫৪, তাইজুলের সাথে ৫৩, রুবেল হোসেনকে নিয়ে ১৫ ও আবু জায়েদের সাথে ৪ রানের জুটি হয় মিঠুনের।
নাসিম শাহর বলে উইকেটরক্ষকের হাতে বন্দী হয়ে মিঠুনের বিদায়ের পর আর কোনো রান যোগ না করেই রানআউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জায়েদ। শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন ইবাদত হোসেন।
স্বাগতিকদের পক্ষে শাহীন শাহ আফ্রিদি চারটি, মোহাম্মদ আব্বাস ও হারিস সোহেল দুটি করে এবং নাসিম শাহ একটি উইকেট পান।