বরযাত্রী শিল্পপতি দ্বীনবন্ধু মিত্র বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার খুলনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে আটক দুজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে, মোবাইল চুরি ও পরবর্তী অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য বর ও কন্যা পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে খুলনা ক্লাব লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। ক্লাবের হিসাবরক্ষক বাবুল কুমার দাস বৃহস্পতিবার খুলনা সদর থানায় এই অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল জানান, মোবাইল চুরির ঘটনায় মো. সেলিম (৩০) ও মো. রাসেল (২৭) নামে দুজনকে আটক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে মোবাইল সেটগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে খুলনা ক্লাব থেকে পাল্টা একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
খুলনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) টিপু সুলতান জানান, মোবাইল চুরির ঘটনায় বরযাত্রী শিল্পপতি দ্বীনবন্ধু মিত্র বাদী হয়ে আটক দুজনের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। একইসাথে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
খুলনা ক্লাবের কর্তৃপক্ষের অভিযোগে, বুধবার রাত সোয়া ৯টায় বিয়ের অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন অতিথির মোবাইল চুরি হয়। এ ঘটনায় দুজন চোরকে ধরা হয়। কিন্তু উত্তেজিত অতিথিদের মধ্যে কয়েকজন চোরদের বেধড়ক মারধর শুরু করেন। এতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অতিথিরা অভ্যর্থনা কক্ষের সামনে থাকা সাইকেল, মোটরসাইকেল ও ফুলের টব ভাঙচুরসহ ক্লাব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে ধস্তাধস্তির মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়। পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজসহ চোরদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় প্রায় ৫০০ বরযাত্রী নিয়ে সৌম্য সরকার খুলনা ক্লাবে যান। এ সময় তিনটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। রাত ১০টার দিকে মালা বদলের আগে আরও চারটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। সৌম্যের বাবা ও বন্ধু অলিসহ বর যাত্রীদের মোট ৭টি মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার ঘটনায় হট্টগোল শুরু হলে মালাবদল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুই চোরকে ধরে গণধোলাই দেয়া হয়।