গত সেপ্টেম্বরে ৯০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে হাজার গোলের মাইলফলকে পৌঁছানোর প্রত্যয় ঝরেছিল ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা মহাতরকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মুখে। তবে বয়সের দিকে তাকিয়ে দুই মাস পরই তার কণ্ঠে মিলল বাস্তবতার সুর।
পেশাদার ফুটবলে ইতোমধ্যে ৯০৮ গোল করে ফেলেছেন রোনালদো। ১০০০-এর মাইলফলক ছুঁতে তার এখনও প্রয়োজন ৯২টি গোল। এদিকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৪০-এ পা দেবেন এই সুপারস্টার। তাই অনন্য এই মাইলফলক ছুঁতে যতটা সময় প্রয়োজন সে পর্যন্ত শরীর সায় দেবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি।
রোনালদোর সম্মানে পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন (এফপিএফ) এক জমকালো পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে দেওয়া বক্তৃতায় আল-নাসর তারকা বলেন, ‘জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমি বর্তমানে বাঁচতে চাই। আমি আর দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করতে চাই না।’
‘আমি প্রকাশ্যেই বলেছিলাম যে হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে চাই। গত মাসেই ৯০০ গোল পার করেছি, এখনও মনে হচ্ছে সবকিছু সহজ। তবে জীবনের এই পর্যায়ে এসে দেখার বিষয়, আগামী কয়েক বছর আমার পা কীভাবে সাড়া দেয়। যদি হাজার গোল করতে পারি ভালো, তবে যদি না-ও পারি, তবুও আমিই ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা।’
আরও পড়ুন: হাজার গোলের মাইলফলক ছুঁতে চান রোনালদো
জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ২১৬ ম্যাচ খেলে ১৩৩ গোল করেছেন রোনালদো, আন্তর্জাতিক ফুটবলে যা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত গোলের রেকর্ড। ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশ নিলে আরও অনেক রেকর্ডে নিজের নাম জুড়ে দিতে পারবেন রোনালদো।
ফিট থাকলে আগামী বিশ্বকাপে তাকে দেখা যে বিস্ময়কর কিছু হবে না, এদিন সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন এফপিএফের সভাপতি ফার্নান্দো গোমেস।
অনুষ্ঠানে রোনালদোকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘(ফুটবলের) সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কার প্লাটিনাম কিনাসের জন্য কেউ যদি যোগ্য হয়ে থাকেন, তিনি নিঃসন্দেহে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।’
‘২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি জাতীয় দলকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পর্তুগাল জাতীয় দলের প্রতি, জার্সির প্রতি যদি কেউ সর্বোচ্চ ভালোবাসা দেখিয়ে থাকেন, তিনি রোনালদো। অনন্য এক শুভেচ্ছাদূত, যিনি জাতীয় দল ও জার্সিকে অনুভব করেন।’