ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
এমবাপ্পেকে নিয়ে রোনালদোর ২ মাস আগের মন্তব্য আলোচনায়
পিএসজি ও ফ্রান্সের জার্সিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে তারকার তকমা নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে এলেও ক্লাবটিতে এখনও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। একের পর এক নিষ্প্র্রভ পারফরম্যান্সের কারণে ইতোমধ্যে ফুটবল পাড়ার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
গত রাতে আথলেকিত বিলবাওয়ের বিপক্ষে পেনাল্টি মিসের পর ২-১ হেরে বার্সেলোনাকে হটিয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে আরোহনের সুযোগ হাতছাড়া করেছে এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদ।
ভিনিসিউস জুনিয়রের অনুপস্থিতিতে যেখানে দলের হাল ধরে নাবিকের ভূমিকা পালনের কথা ছিল এমবাপ্পের, সেখানে সমর্থকদের সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনায় পুড়তে হচ্ছে তাকে।
তবে এমন যে হতেই পারে, দুই মাস আগেই এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবল মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
আরও পড়ুন: হেরে পিএসজি অধ্যায় শেষ করলেন এমবাপ্পে
গত ১২ সেপ্টেম্বর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়াল মাদ্রিদে কিলিয়ান এমবাপ্পের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেন রোনালদো।
সে সময় তিনি বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ পিএসজি নয়, তাই তার (এমবাপ্পে) মাথা কতটা পরিষ্কার এবং সে কতটা চাপ সামলাতে পারে তা আমরা দেখব।’
‘আমি আপনাকে বলতে পারি যে, এমবাপ্পে রিয়ালে যাওয়ার পর আপনি ভাবছেন, তাকে পেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ কি আসলেই আরও ভালো দল হবে? আমরা জানি না, তবে সামনে তা দেখা যাবে।’
রোনালদো বলেন, ‘আমার বিশ্বাস দল হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদ শক্তিশালীই থাকবে, তবে (তাকে নিয়ে) গত বছরের চেয়ে ভালো দল হবে কিনা জানি না। কেবল ঈশ্বরই তা জানেন।’
তবে দারুণ সব খেলোয়াড় নিয়ে দলটি এবারও অসাধারণ বলে উল্লেখ করেন ৩৯ বছর বয়সী আল নাসর তারকা।
বিলবাওয়ের বিপক্ষে হেরে ১৫ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় বার্সেলোনা। এছাড়া ১৫ ম্যাচে রিয়ালের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় আতলেতিকো মাদ্রিদ। আর রিয়ালকে হারিয়ে ১৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে এর্নেস্তো ভালভার্দের আথলেতিক বিলবাও।
আগামী শনিবার রাতে জিরোনার বিপক্ষে মাঠে নামবে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। তার আগে সন্ধ্যায় রিয়াল বেতিসের মাঠে খেলতে নামবে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
১ সপ্তাহ আগে
অবসর নিয়ে আরও স্পষ্ট বার্তা রোনালদোর
অবসর নিয়ে কিছুদিন আগেই নিজের ভাবনা জানিয়েছেন পর্তুগিজ ফুটবল সুপারস্টার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এবার সেটি আরও স্পষ্ট করেছেন তিনি।
৩৯ পেরিয়ে ৪০-এ পা দিতে আর বেশিদিন দেরি নেই। এই বয়সেও দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছেন রোনালদো। গতরাতে নেশন্স লিগে পোল্যান্ডকে ৫-১ গোলে হারানোর ম্যাচেও জোড়া গোল পেয়েছেন তিনি। তার দ্বিতীয় ও পর্তুগালের পঞ্চম গোলটি আসে দৃষ্টিনন্দন এক বাইসাইকেল কিক থেকে।
এর ফলে জাতীয় দলের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের (১৩২টি) রেকর্ড এখন রোনালদোর। এই রেকর্ড গড়ার পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন তারই সাবেক ক্লাব সতীর্থ সের্হিও রামোসকে। ২০২১ সালে স্পেনের জার্সিতে বিদায় নেওয়ার আগে ১৩১ ম্যাচ জেতেন এই রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি।
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি বয়সে জোড়া গোল করার রেকর্ডটিও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে তার গোলসংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫টিতে।
নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের ১ নম্বর গ্রুপের পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও একটি ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ইতোমধ্যে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল। একইসঙ্গে ৫ গোল নিয়ে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতাও পর্তুগিজ মহাতরকা। অবশ্য সমান সংখ্যক গোল নিয়ে স্লোভেনিয়ার বেনিয়ামিন শেশকোও তার পাশে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
এই ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবারও অবসরের প্রসঙ্গটি উঠে আসে।
তার কথায়, ‘এখন শুধু (খেলা) উপভোগ করতে চাই। অবসর নিয়ে পরিকল্পনা বলতে… যদি নিতে হয় তো আগামী বছর দুয়েকের মধ্যেই নিয়ে নেব।’
‘আসলে কী হবে জানি না। ৪০-এ পড়তে যাচ্ছি…. এখন যতদিন পারি ফুটবল উপভোগ করতে চাই। তবে যতক্ষণ খেলার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি, চালিয়ে যেতে থাকব। যখন দেখব ভেতর থেকে আর (খেলার) তাড়না পাচ্ছি না, অবসর নিয়ে নেব।’
তবে খেলা ছাড়ার পর সত্যিই যে ফুটবলের সঙ্গে আর থাকার ইচ্ছা নেই, সে কথাও উল্লেখ করতে ভুললেন না আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪০-এ পা দিতে চলা এই স্কোরিং মেশিন।
‘জাতীয় দল ছাড়ার সিদ্ধান্তটি অবশ্যই ভেবেচিন্তে নেব। তারপর ম্যানেজার হিসেবে আর (ফুটবলে) ক্যারিয়ার শুরু করার পরিকল্পনা নেই। যদিও সময় অনেক কিছু পাল্টে দেয়, তবে এখন পর্যন্ত ফুটবলের বাইরে কিছু করার পরিকল্পনাই রয়েছে আমার।’
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে রোনালদোকে বিশ্রাম দেওয়া হব বলে জানিয়ে দিয়েছেন কোচ রবের্তো মার্তিনেস।
ক্লাবের হয়েও চলতি মৌসুমের শুরুটা ভালো হয়েছে রোনালদোর। আল-নাসরের হয়ে ১৫ ম্যাচে ১০ গোলের পাশাপাশি তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
১ মাস আগে
হাজার গোলের মাইলফলক ছোঁয়া নিয়ে সংশয়ে রোনালদো
গত সেপ্টেম্বরে ৯০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে হাজার গোলের মাইলফলকে পৌঁছানোর প্রত্যয় ঝরেছিল ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা মহাতরকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মুখে। তবে বয়সের দিকে তাকিয়ে দুই মাস পরই তার কণ্ঠে মিলল বাস্তবতার সুর।
পেশাদার ফুটবলে ইতোমধ্যে ৯০৮ গোল করে ফেলেছেন রোনালদো। ১০০০-এর মাইলফলক ছুঁতে তার এখনও প্রয়োজন ৯২টি গোল। এদিকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৪০-এ পা দেবেন এই সুপারস্টার। তাই অনন্য এই মাইলফলক ছুঁতে যতটা সময় প্রয়োজন সে পর্যন্ত শরীর সায় দেবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি।
রোনালদোর সম্মানে পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন (এফপিএফ) এক জমকালো পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে দেওয়া বক্তৃতায় আল-নাসর তারকা বলেন, ‘জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমি বর্তমানে বাঁচতে চাই। আমি আর দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করতে চাই না।’
‘আমি প্রকাশ্যেই বলেছিলাম যে হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে চাই। গত মাসেই ৯০০ গোল পার করেছি, এখনও মনে হচ্ছে সবকিছু সহজ। তবে জীবনের এই পর্যায়ে এসে দেখার বিষয়, আগামী কয়েক বছর আমার পা কীভাবে সাড়া দেয়। যদি হাজার গোল করতে পারি ভালো, তবে যদি না-ও পারি, তবুও আমিই ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা।’
আরও পড়ুন: হাজার গোলের মাইলফলক ছুঁতে চান রোনালদো
জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ২১৬ ম্যাচ খেলে ১৩৩ গোল করেছেন রোনালদো, আন্তর্জাতিক ফুটবলে যা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত গোলের রেকর্ড। ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশ নিলে আরও অনেক রেকর্ডে নিজের নাম জুড়ে দিতে পারবেন রোনালদো।
ফিট থাকলে আগামী বিশ্বকাপে তাকে দেখা যে বিস্ময়কর কিছু হবে না, এদিন সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন এফপিএফের সভাপতি ফার্নান্দো গোমেস।
অনুষ্ঠানে রোনালদোকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘(ফুটবলের) সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কার প্লাটিনাম কিনাসের জন্য কেউ যদি যোগ্য হয়ে থাকেন, তিনি নিঃসন্দেহে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।’
‘২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি জাতীয় দলকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পর্তুগাল জাতীয় দলের প্রতি, জার্সির প্রতি যদি কেউ সর্বোচ্চ ভালোবাসা দেখিয়ে থাকেন, তিনি রোনালদো। অনন্য এক শুভেচ্ছাদূত, যিনি জাতীয় দল ও জার্সিকে অনুভব করেন।’
১ মাস আগে
২১ বছর পর ব্যালন দ’র লড়াইয়ে নেই মেসি-রোনালদো
অনেক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে ব্যালন দ’রে মনোনয়ন পাওয়া ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা। ৩০ জনের এই তালিকায় ২০০৩ সালের পর এবারই প্রথম দেখা যায়নি ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি এবং আল নাসরের পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে।
গত ১৬ বছরের মধ্যে ১৩ বারই বিশ্ব ফুটবলের সেরা এই ব্যক্তিগত পুরস্কার ভাগাভাগি করেছেন বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের দুই গ্রেট। ২০২৩ সালে সর্বশেষ ব্যালন দ’র জেতেন মেসি। সেটি ছিল কোনো ফুটবলারের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যালন দ’র জয়। তবে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর গত বছর থেকেই ব্যালন দ’রের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার এই পুরস্কার জেতা রোনালদো।
২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দুজনের আধিপত্যে ব্যালন দ’র স্পর্শ করতে পারেননি আর কোনো ফুটবলার। পরের বছর এটি জেতেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়াট মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ। এরপর ২০১৯ সালে ষষ্ঠবারের মতো মেসির হাতে ওঠে পুরস্কারটি। এর ফলে তিনি রোনালদোকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ব্যালন দ’র জয়ের চূড়ায় ওঠেন।
আরও পড়ুন: রদ্রির ব্যালন দ’র নিশ্চিত হয়ে গেছে
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালে পুরস্কারটি স্থগিত করে ফেঞ্চ ফুটবল। সেবার দুর্দান্ত পারফর্ম করে ব্যালন দ’র জয়ের দৌড়ে সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন তৎকালীন বায়ার্ন মিউনিখ ও বর্তমান বার্সেলোনা স্ট্রাইকার রবের্ট লেভানডোভস্কি। তবে পরের বছর আবারও জিতে রোনালদোর সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়ান মেসি। তারপর ২০২২ সালে তৎকালীন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা জেতেন পুরস্কারটি। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা জেতার পর ২০২৩ সালে অষ্টমবারের মতো ব্যালন দ’র জিতে অনন্য উচ্চতায় ওঠেন মেসি।
গত মৌসুমে আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা জিতলেও ক্লাব ফুটবলে খুব বেশি অর্জন ছিল না লিওনেল মেসির। অন্যদিকে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে সৌদি প্রো লিগে ৩১ ম্যাচে ৩৫ গোল এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচে ৪৪ গোল করেন রোনালদো। কিন্তু গত জুন-জুলাইয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইউরোয় পর্তুগালের পাঁচ ম্যাচে একবারও জালের দেখা পাননি ৩৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। কোয়ার্টার-ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় বিদায় নিতে হয় ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়নদের।
এবারের ব্যালন দ’র জেতার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র, ক্লাবটির স্প্যানিশ অধিনায়ক দানি কারভাহাল, ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ অধিনায়ক রদ্রি এবং ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: ভিনিসিউস, বেলিংহ্যামকে ফেভারিট মনে করেন না কারভাহাল
ব্যালন দ’রের জন্য মনোনীত ৩০ জন: জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ), রুবেন দিয়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভার্দে (রিয়াল মাদ্রিদ), এমিলিয়ানো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিলা), আর্লিং হালান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি), নিকো উইলিয়ামস (আথলেতিক বিলবাও), গ্রানিট জাকা (বায়ের লেভারকুজেন), আর্তেম দবভিক (জিরোনা/রোমা), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিউস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), দানি অলমো (লাইপসিগ/বার্সেলোনা), ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস (বায়ের লেভারকুজেন), মার্টিন ওডেগোর্ড (আর্সেনাল), মাটস হুমেলস (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), ভিতিনিয়া (পিএসজি), কোল পালমার (ম্যানচেস্টার সিটি/চেলসি), দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), লামিন ইয়ামাল (বার্সেলোনা), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল), হাকান চালানোলু (ইন্টার মিলান), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল), কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি/রিয়াল মাদ্রিদ), লাউতারো মার্তিনেস (ইন্টার মিলান), আদেমোলা লুকমান (আতালান্তা), আন্টোনিও রুয়েডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ) ও আলেক্স গ্রিমালদো (বায়ের লেভারকুজেন)।
৩ মাস আগে
অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
প্রায় দুই যুগ আগে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু করেছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। বয়স ৩৯ বছর হয়ে গেলেও এখনও মাঠে আলো ছড়িয়ে চলেছেন তিনি। তবে বয়স বেড়ে যাওয়ায় প্রায়ই অবসর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এই তারকা ফুটবলারকে। তবে এ বিষয়ে আগেভাগে কাউকে কিছু জানাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।
পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি যখন জাতীয় দল ছাড়ব, তার আগে কাউকে কিছু জানাব না। এটি আমার পক্ষ থেকে একটি সাবলীল সিদ্ধান্ত হবে।’
সদ্য অনুষ্ঠিত ইউরো আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেললেও মাঠের খেলায় গোলশূন্য ছিলেন রোনালদো। এমনকি, শেষ ষোলোয় স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি পেলেও তা মিস করেন পাঁচবারের ব্যালন দ’র জয়ী এই ফুটবলার। সবশেষ কোয়ার্টারে ফ্রান্সের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পর তার অবসরের প্রসঙ্গটি উঠছে প্রায়ই।
তবে এসব আশঙ্কার মাঝেও জাতীয় দলের জার্সিতে ফের ডাক পেতে মরিয়া ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন: রোনালদোর অর্জনের মুকুটে আরও একটি পালক
আগামী মাসে শুরু হতে চলা উয়েফা নেশন্স লিগের জন্য যে কোনো সময় স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারেন পর্তুগাল কোচ রবের্ত মার্তিনেস। এই স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে আল নাসর ফরোয়ার্ডের বক্তব্য, ‘এই মুহূর্তে জাতীয় দলকে সহযোগিতা করার কথাই শুধু আমার মাথায় রয়েছে। আমাদের সামনে এখন নেশন্স লিগ এবং সত্যিকার অর্থেই আমি (টুর্নামেন্টে) খেলতে চাই।’
২০১৬ সালের ইউরো অভিযানে সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের দিকনির্দেশনা দিতে দেখা যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও ইউভেন্তুসের হয়ে খেলা এই তারকাকে। তার পর থেকে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর তার কোচিংয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা আলোচনা হয়েছে অনেক। তবে রোনালদো নিজে এ বিষয়ে ভাবছেনই না বলে জানালেন।
‘এই মুহূর্তে আমি মূল দল বা কোনো দলেরই কোচ হওয়ার কথা ভাবছি না। এটি আমার মাথায় কখনো আসেইনি। ভবিষ্যতে আমি নিজেকে কোচ হিসেবে দেখছি না।’
অবসরের পর ফুটবল নয়, এর বাইরে গিয়ে কিছু করবেন বলে জানালেন আন্তার্জতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
‘আমি নিজেকে ফুটবলের বাইরে অন্যকিছু করতে দেখছি, তবে ভবিষ্যতে কী হবে তা ঈশ্বরই জানেন।’
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
সৌদি প্রো লিগে আজ রাত ১২টায় আল ফাইহার বিপক্ষে খেলতে নামবে রোনালদোর আল নাসর। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নেশন্স লিগে নিজেদের যাত্রা শুরু করবে পর্তুগাল। জাতীয় দলে সুযোগ পেলে ওই ম্যাচের পর ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে সৌদি আরব ফিরবেন তিনি।
নেশন্স লিগের লিগ ‘এ’ এর গ্রুপ-১ এ পর্তুগালের অন্য প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড। অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে পোলিশদের মুখোমুখি হবে তারা।
৩ মাস আগে
ইউটিউবে যাত্রা শুরু রোনালদোর
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ফুটবল মাঠে রাজত্ব করে চলা পর্তুগিজ মহাতরকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগে থেকেই সক্রিয়। এবার ইউটিউবে নতুন যাত্রা শুরু করেছেন তিনি।
ফেসবুক, এক্স ও ইনস্টাগ্রামে আগে থেকেই সক্রিয় ছিলেন রোনালদো। এর মধ্যে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে তো অনুসারীর সংখ্যায় তার ধারেকাছেও কেউ নেই। ইউটিউবে যোগ দেওয়ার পরও দেখা গেল একই ধারা।
বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘ইউআর ক্রিস্তিয়ানো’ খোলার ঘোষণা দেন রোনালদো। এরপর থেকেই চ্যানেলটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে তার ভক্ত-সমর্থকরা।
চ্যানেলটি খোলার প্রথম ঘণ্টাতেই ৩৯ বছর বয়সী এই মহাতারকার অনুসারীর সংখ্যা ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ইউটিউবে দ্রুততম এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অর্জনের রেকর্ড এটি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চ্যানেলটির মোট সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, ফুটবল অঙ্গনে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকে তিনি অতিক্রম করেছেন মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই।
আরও পড়ুন: রোনালদোর অর্জনের মুকুটে আরও একটি পালক
ইউটিউব চ্যানেল খুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোনালদো লেখেন, ‘অপেক্ষার প্রহর শেষ। অবশেষে আমার ইউটিউব চ্যানেল এসেছে।’
নিজের ট্রেডমার্ক উদযাপন সিউ…-এর ভঙ্গিতে অনুসারীদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘সাবস্ক্রাইব করে নতুন এই যাত্রায় আমার সঙ্গে থাকুন।’
উল্লেখ্য, এক্সে ১১ কোটি ২৫ লাখ, ফেসবুকে ১৭ কোটি এবং ইনস্টাগ্রামে ৬৩ কোটি ৬০ লাখ অনুসারী পাঁচবার ব্যালন দ’র জয়ী এই ফুটবলারের।
ইউরোপীয় ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে কয়েক বছর আগে সৌদি আরবে ফুটবল খেলছেন রোনালদো। সৌদি প্রো লিগের নতুন মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ রাতে আল-রাইদের বিপক্ষে মাঠে নামবে রোনালদোর আল নাসর।
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
৩ মাস আগে
রোনালদোর আল নাসরকে গুঁড়িয়ে সৌদি সুপার কাপ জিতল আল হিলাল
সৌদি আরবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ট্রফি জয়ের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হলো। সৌদি সুপার কাপে রোনালদো দল আল-নাসরকে একপ্রকার গুঁড়িয়ে দিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন আল-হিলাল।
শনিবার (১৭ আগস্ট) আবহা শহরের প্রিন্স সুলতান বিন আবদুলআজিজ স্টেডিয়ামে সুপার কাপের ফাইনাল ম্যাচটি ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে আল হিলাল।
এই জয়ে রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো সুপার কাপ ঘরে তুলেছে ক্লাবটি। বাকি দলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সুপার কাপ নেওয়ার রেকর্ড দুবার।
ম্যাচে চরম বিপর্যস্ত হলেও শুরুটা কিন্তু ভালো করেছিল আল নাসর। রোনালদোর গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আল নাসরের সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে আল হিলাল।
ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান লাৎসিও থেকে আল হিলালে যোগ দেওয়া মিডফিল্ডার সের্গেই মিলিঙ্কোভিচ-সাভিচ। এরপর ৬৩ ও ৬৯তম মিনিটে জোড়া গোল করে বড় ব্যবধান গড়ে দেন ফুলহ্যাম থেকে গত মৌসুমে সৌদিতে পাড়ি জমানো আরেক সার্বিয়ান আলেকসান্দার মিত্রোভিচ। ৭২তম মিনিটে কফিনের শিষ পেরেকটি ঠুকে দেন বার্সেলোনার সাবেক ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার মালকম।
আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতে বার্সার ‘ফ্লিক অধ্যায়’ শুরু
দশ মিনিটের ঝড়ে এলোমেলো আল নাসর এরপর ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে যায়। দলটির ফুটবলারদেরও ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ভাবটি ফিকে হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৪-১ ব্যবধানে ম্যাচটি হেরে হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রোনালদো অ্যান্ড কোংকে।
গত মৌসুমে এই আল হিলালের কাছেই সৌদি প্রো লিগের শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে রোনালদোর আল নাসরের। এরপর এ বছরের মে মাসে সৌদি কিংস কাপ ফাইনালেও তাদের বিপক্ষে হেরে শিরোপাবঞ্চিত হতে হয়। তারপর সুপার কাপের ফাইনালে সেই একই প্রতিপক্ষ পেয়েও প্রতিশোধ নিতে তো পারল না-ই, বরং নাকানি-চুবানি খেয়ে এই শিরোপাটিও হাতছাড়া হলো তাদের।
৪ মাস আগে