বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষকদের হাতে বীজ ও সার তুলে দেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি আক্তার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভাতের পরই বাংলাদেশে যে খাদ্যটির চাহিদা বেশি সেটি হলো আটা ও ময়দা। আর আটা-ময়দা আসে গম থেকে। যদিও বাংলাদেশে গমের চাষ যতটা প্রসার লাভ করার কথা ছিল ততটা হয়নি, তবুও যে পরিমাণ জমিতে গমের চাষ হয় সেই জমিতে আধুনিক পদ্ধতি মেনে চাষ করলে গমের ফলন বেশি পাওয়া যেতে পারে।
চাষ পদ্ধতি: গম চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি জমি বেশি উপযোগী। তবে মাঝারি নিচু জমিতেও গম চাষ করা যায়। দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি গম চাষের জন্য সর্বোত্তম। আবার সহজে পানি নিষ্কাশন হয়, এমন এঁটেল ও এঁটেল দো-আঁশ মাটিতেও গমের চাষ করা যায়। লবণাক্ত মাটিতে গমের ফলন কম হয়। বোনার জন্য একর প্রতি গম বীজের প্রয়োজন হয় ৪৮ কেজি বা বিঘা প্রতি ১৬ কেজি। বীজ গজানোর ক্ষমতা ৮৫ শতাংশ বা তার বেশি হলে ভালো হয়। ৮০ শতাংশের নিচে হলে প্রতি এক ভাগ কমের জন্য একর প্রতি ৪০০ গ্রাম গম বীজ বেশি বুনতে হয়। তবে ৬০ শতাংশের নিচে হলে সেই গম বীজ বোনা উচিত নয়। বোনার আগে গম বীজ প্রোভেক্স-২০০ (প্রতি কেজি বীজে ৩ গ্রাম হারে) বা কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক (প্রতি কেজি বীজে ২ গ্রাম হারে) দিয়ে শোধন করে নিতে হয়। বীজ শোধন করলে বীজবাহিত রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং নতুন গজানো চারা সুস্থ ও সবল থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এতে গমের ফলন শতকরা ১০-১২ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। সারিতে অথবা ছিটিয়ে গম বীজ বপন করা যায়। তবে সারিতে বুনলে জমি তৈরির পর লাঙ্গল দিয়ে বা বীজ বপন যন্ত্রের সাহায্যে সরু নালা করে ২০ সেন্টিমিটার দূরত্বের সারিতে ৪-৫ সেন্টিমিটার গভীরতায় বীজ বুনতে হয়। ধান কাটার পরপরই পাওয়ার টিলারচালিত বীজ বোনার যন্ত্রের সাহায্যে স্বল্পতম সময়ে গম বোনা যায়। এই যন্ত্র দিয়ে একসাথে জমি চাষ, সারিতে বীজ বপন ও মইয়ের কাজ করা যায়।