দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় মোখায় প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত এবং ১০ হাজারের বেশি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি জানান, তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পেরেছে।
সোমবার তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা যখন বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে, তখন সেন্টমার্টিন দ্বীপে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৮ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার ও টেকনাফে ৮০ কিলোমিটার।
মোখার ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে এনামুর বলেন, অনেক গাছ উপড়ে গেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করার ঘোষণার পর যারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন তাদের দেখভাল করছে স্থানীয় প্রশাসন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য ঢেউটিন এবং নগদ টাকা দিতে বলেছি। একটি তালিকা তৈরি করা হবে, ওই তালিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোখায় ফসল, মৎস্য, বিদ্যুৎ ও সড়ক খাতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নিরূপণ করবে।
রাস্তায় পড়ে থাকা গাছগুলোর জন্য যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছিলো সেগুলো ইতোমধ্যে সরানো হয়েছে। যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও এখন সচল আছে।