চুয়াডাঙ্গায় টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এতে করে মানুষ ও যানবাহন চলাচল অনেকটা কমে গেছে। বাজারে ঈদ কেনাকাটায় ছেদ পড়েছে। তীব্র গরমে রোজাদারদের অবস্থাও ওষ্ঠাগত।
গত কয়েকদিন ধরে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই আটকে আছে তাপমাত্রার পারদ। এছাড়া টানা পাঁচদিন মৃদু তাপপ্রবাহে কাহিল সব শ্রেণির মানুষ।
বেসরকারি চাকরিজীবী শিউলি শারমীন বলেন, প্রচণ্ড গরমে রোজা রাখা আর অফিস করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভালো হতো।
রিকশাচালক লিয়াকত মিয়া বলেন, রাস্তায় বের হলে মাথার উপর সূর্য থাকছে। একইসঙ্গে গরমে রিকশা চালোনো যাচ্ছে। আর যাত্রীও তেমনটা নেই।
ব্যাংকার আবির হোসেন রাজু বলেন, ভাবছিলাম মাঝ রোজার মধ্যে বাড়ির জন্য ঈদের কেনাকাটা করে রাখবো, কিন্তু এত রোদ আর তাপমাত্রা মার্কেটে ঘোরাঘুরি করার উপায় নেই।
আরও পড়ুন: দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। শুক্রবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও রবিবার ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
অর্থাৎ, টানা তিনদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছিলো।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এছাড়া গত তিনদিনও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। টানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দিনের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।