এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দূষণমূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সারাবিশ্বের স্কুল শিক্ষার্থীদের নৈতিক এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অভিযোজন এবং প্রশমনের জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত অনুদানভিত্তিক তহবিল প্রদানের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রশমনে প্রাক-শিল্পায়ন যুগের তুলনায় তাপমাত্রা কমপক্ষে ২ ডিগ্রি ও ক্রমান্বয়ে তা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত হয়েছিল, তা উপেক্ষার কোনো সুযোগ নেই।’
‘বর্তমান কোভিড-১৯ সংকটের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নামে শিল্পোন্নত দেশগুলোর উদ্যোগে গ্রিন রিকভারির প্রস্তাব করা হলেও প্রধান কার্বন-নি:সরণকারী যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ এ বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান গ্রহণ করায় বৈশ্বিক গ্রিন হাউজ গ্যাস নি:সরণের ঝুঁকি উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে,’ বলেন তিনি।
ড. ইফতেখার জানান, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য প্যারিস চুক্তিতে ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে সামান্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশের ও প্রতিশ্রুত প্রশমন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিবর্তে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যাবহারে অগ্রাধিকার প্রদানের মতো প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কার্যক্রম গ্রহণ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
টিআইবির মতে, চলমান অতিমারির সুযোগ নিয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলোর গ্রিনহাউজ গ্যাস নি:সরণ বৃদ্ধি এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা না হলে ভবিষ্যতে বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট চরম আকার ধারণ করবে।
এজন্য প্যারিস অঙ্গীকার মেনে শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোকে জলবায়ু প্রশমনে অনতিবিলম্বে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানো ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুত তহবিল নিশ্চিতে স্কুলশিক্ষার্থীদের ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায় টিআইবি।