বুধবার ভাটারা, সাতারকুল ও বাড্ডা এলাকায় সুতিভোলা খাল ও কড্ডা খাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। আমার প্রথম কাজ হচ্ছে এসব এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করা। দ্বিতীয় কাজ রাস্তা চওড়া করা। সরু রাস্তাগুলো অবশ্যই প্রশস্ত করতে হবে। এ কাজে আমাদের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা সাহায্য করছে। আমরা রাজউককে পত্র দিয়েছি, এ এলাকায় যেন কোনো ধরনের ভবন নির্মাণের প্ল্যান দেয়া না হয়। আমি কাউন্সিলরদের বলেছি, এ এলাকায় আর যাতে কোনো বাড়ি না হয়।’
আরও পড়ুন:নগরবাসীর কাছে জবাবদিহি নিশ্চিত করবে অ্যাপ: ডিএনসিসি মেয়র
খাল দখলদার কেউ ছাড় পাবে না: ডিএনসিসি মেয়র
খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘সিএস, আরএস ও সিটি জরিপ- যে দাগে খালের জায়গা বেশি পাওয়া যাবে সে দাগ অনুসারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। কারণ খাল যত বড় হবে এলাকার পানি তত সহজে নির্গমন হবে। এ এলাকার রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলে কোমর পানি হয়ে যায়। আমি ইতোমধ্যে এখানে যেসকল ড্রেন আছে তা পরিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছি। প্রকল্পে ড্রেনগুলো বড় করার নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া এ এলাকায় আর কোনো বাড়ি উঠবে না।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্পের অধীনে ২৯ কিলোমিটার খাল পুনরুদ্ধার, পুনরায় খনন, পাড় বাঁধাই, সাইকেল লেন, ওয়াকওয়ে ও সবুজায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর সব বেদখল খাল উদ্ধার করা হবে: মন্ত্রী
খালের বর্জ্যের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের দুর্নীতিও অপসারণ করা হচ্ছে: মেয়র তাপস
নগরবাসীকে নিয়ে সবার ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার মেয়র আতিকের
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, শেখ সেলিম, মো. নজরুল ইসলাম ঢালী ও আব্দুল মতিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।