দেশের সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে বায়ুর গুণমান সূচক (একিউআই) স্কোর ১৬৫ নিয়ে বায়ু মানের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।
অন্যদিকে প্রতিবেশি ভারতের দিল্লি এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ১৮৬ এবং ১৭৯ একিউআই স্কোর নিয়ে এ সূচকের প্রথম দুটি স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১০১-২০০ এর মধ্যে থাকলে ওই বায়ুকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
এছাড়া এ মান ২০১-৩০০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৩০১-৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচিত হয়। যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
দৈনিক বায়ুর গুণমান রিপোর্ট করার জন্য একটি সূচক হলো একিউআই। একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা নিরাপদ বা দূষিত এবং এ বায়ু তাদের স্বাস্থ্যের ওপর কিরকম প্রভাব ফেলবে সরকারি সংস্থাগুলো জনগণকে তা জানাতে একিউআই ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’: একিউআই
বাংলাদেশে একিউআই পাঁচটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ এবংপিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন।
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ, রাস্তাঘাট, ইটভাটা এবং অন্যান্য উৎস থেকে দূষক কণা ব্যাপকভাবে নিঃসরণের কারণে শহরের বায়ুর গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
বায়ু দূষণ ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টির শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার ফলে মানুষের হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) এর মতে, বায়ু দূষণের ফলে সৃস।ট বিভিন্ন রোগ যেমন-স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’