বুধবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের (আপিসি) সহায়তায় ‘ওভারভিউ অব সিআইপি’স ওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফসল আলু। বাংলাদেশে উৎপাদনের দিক থেকে ধান, গম ও ভুট্টার পর চতুর্থ স্থানে আছে আলু। এটি বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। বিগত কয়েক বছর যাবত দেশে চাহিদার চেয়ে ৩৫-৪০ লাখ মেট্রিক টন আলু বেশি উৎপাদিত হচ্ছে।
পরিবেশ ও জলবায়ুজনিত সমস্যা মোকাবিলা করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভালো বীজের বিকল্প নেই এবং এক্ষেত্রে পরস্পরিক সহায়তারও প্রয়োজন রয়েছে, বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের কাছ থেকে আম ও মিষ্টি আলু আমদানি করতে চায়। পুষ্টিমান সম্পন্ন মিষ্টি আলুতে ক্যারোটিন রয়েছে এবং আমাদের মিষ্টি আলুর মানও ভালো। যেহেতু বাংলাদেশ নিজস্ব উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে এবং সর্বত্রই আলুর চাষ হয়ে থাকে তাই এর উৎপাদন অনেক বেশি হচ্ছে। উদ্বৃত্ত আলু রপ্তানির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে হবে, বাজার প্রসারিত করতে হবে।
কৃষি খাতের জন্য টাকার কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, এক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা অপরিহার্য এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষিখাতের বিদ্যমান সমস্যা নিরসন করে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত বিভিন্ন আলুর জাত সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয় কর্মশালায়।
এসময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।