সাধারণত মাঘের শীতের শেষে রাজশাহী অঞ্চলের বাগানে দেখা মিলে আমের মুকুলের। তবে এবার ভরা পৌষের শীতেই রাজশাহীর গাছে গাছে উঁকি দেয় আগাম আমের মুকুল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহী নগরী, গোদাগাড়ী, বাঘা, চারঘাট উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার বাগানগুলোতে দেখা যাচ্ছে মুকুল, সাথে উঁকি দিচ্ছে আমের গুটি।
সোনারাঙা সেই মুকুলের পরিমাণ কম হলেও এর সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। তবে সারা গাছে না এসে কিছু কিছু ডালে মুকুল এসেছে। এতে অনেককে ভাবিয়ে তুলেছে।
আর কিছুদিনের মধ্যে গাছেগুলোতে পুরো দমে আসতে শুরু করবে আমের মুকুল। আর সে জন্য আগেই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
গোদাগাড়ী উপজেলার আম বাগান মালিক কাউসার আলী জানান, পৌষের শেষে গাছে মুকুল দেখে তাদের মনে আশার প্রদীপ জ্বলে উঠেছে। বাগানের পরিচর্যার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। গাছের কিছু কিছু ডালে মুকুল এসেছে। মুকুলগুলো টিকে গেলে ভাল হবে। এতে দাম ভালো পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি। গত বছর আমের ফলন ভালো হলেও সংরক্ষণের অভাবে দাম ভালো পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দিন বলেন, এবার তীব্র শীতেই আম গাছে আগাম মুকুল এসেছে। আবহাওয়ার উন্নতি হয়ে তাপমাত্রা একটু বাড়লে মুকুলের সমস্যা হবে না।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক বলেন, রাজশাহীতে প্রতি বছরই কিছু আম গাছে আগাম মুকুল আসে। এবারও এসেছে। এ বছর ঘন কুয়াশায় না থাকায় ভালো ফলন পাওয়া যাবে। তবে নিয়ম মেনে শেষ মাঘে যেসব গাছে মুকুল আসবে সেসব গাছের মুকুল স্থায়ী হবে।