অবৈধ নিয়োগের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেইউএসটি) সাবেক উপাচার্য আবদুস সাত্তারসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের উপপরিচালক আল আমিন বাদী হয়ে যশোর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি করেন বলে ইউএনবিকে জানান উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
মামলায় ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আবদুস সাত্তার ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আবদুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য মো. কামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: নবনিযুক্ত দুদক কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি
২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আবদুর রউফ। এ নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্যের বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন উপাচার্য মো. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি কামাল উদ্দিন। ওই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরও তিন পরীক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষায় পাস করেনি কেউ।
আরও পড়ুন: কাস্টমসের অডিট কমিশনার এনামুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অন্যদিকে প্রজ্ঞাপনের শর্ত অনুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও আবদুর রউফকে সহকারী পরিচালক পদে প্রথমে নিয়োগের চেষ্টা করে সিলেকশন বোর্ড। পরে অভিজ্ঞতার অভাব বিবেচনায় সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। বোর্ড অব রিজেন্টের সভাপতি হিসেবে সাবেক উপাচার্য আবদুস সাত্তার সার্কুলার প্রদান ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।
অবৈধভাবে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান আবদুর রউফ। এরপর সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কাজ করার সময় ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এবং ২০১৪ সালে উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ পান এবং আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তার বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
আরও পড়ুন: নারী ফুটবল লিগের চেয়ারপারসন কিরণকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ