অবৈধভাবে দখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, `আসন্ন বর্ষা মৌসুমে রাজধানীর জলাবদ্ধতা সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে অবৈধভাবে দখল হওয়া সকল খালসমূহ পুনরুদ্ধার করে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে।‘
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুই দেশের সকল উন্নয়ন চিন্তা-চেতনার ভিত্তিপ্রস্তর করেছেন: এলজিআরডি মন্ত্রী
মঙ্গলবার রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসন এবং ওয়াসার নিকট থেকে খাল হস্তান্তরের সময় সিটি করপোরেশনকে দেয়া কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি এবং 'কল্যাণপুর পাম্পের রিটেনশন পন্ড' র জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশন নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে পাম্প রিটেনশন পন্ডের জন্য এখানে ১৭১ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু অধিকৃত এ জায়গায় অনেকেই অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এসব অবৈধ অবকাঠামো উচ্ছেদ করে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:হাতিরঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালুর প্রকল্প নেয়া হয়েছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
নগরবাসীর শাস্তির জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন থাকা খালগুলোর দুই পাড় দখল করে সংকুচিত করা হয়েছে।
খালের দখল ঠেকাতে সীমানা নির্ধারণের জন্য সীমানা পিলার স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
কল্যাণপুর পাম্পের গুরুত্ব ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনকালে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র 'কল্যাণপুর স্ট্রং ওয়াটার পাম্প স্টেশন সংলগ্ন রেগুলেটিং পন্ড সংরক্ষণ প্রকল্প (ফেজ-২)' শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে অবহিত করলে মন্ত্রী তা মন্ত্রণালয়ে পাঠাত বলেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
এছাড়া মন্ত্রী সিটি করপোরেশনগুলোতে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত অর্থ ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের গৃহীত কার্যক্রম মন্ত্রী অবহিত হন এবং সকল কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকাকে ছোট ছোট সাব জোনে ভাগ করে প্রতিটি সাব জোনে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে দুঃস্থ মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী
এ সময় মন্ত্রীর সাথে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।