শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় যাত্রীবাহী লঞ্চটির সামনের অংশ ছিদ্র হয়ে যায়। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন লঞ্চের পাঁচ শতাধিক যাত্রী।
এদিকে আতঙ্কিত যাত্রীরা লঞ্চটি নিরাপদ স্থানে থামানোর জন্য বললেও লঞ্চটি না থামিয়ে উল্টো লঞ্চের স্টাফরা যাত্রীদের মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এক পর্যায়ে লঞ্চের যাত্রীদের কেউ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইলে লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে ভেড়ানো হয়।
মুক্তারপুর নৌ-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. লোকমান জানান, লঞ্চটির সামনের অংশ ছিদ্র হওয়ায় লঞ্চটিকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে এনে সারানো হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) থেকে প্রকৌশলীরা ঠিক করে দিলে লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।
লঞ্চযাত্রী নিরব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘বাল্কহেডের সাথে ধাক্কায় লঞ্চের সামনের অংশের ওপর ও নিচের অংশে ছিদ্র হয়ে যায়। এসময় বালুর বস্তা ও সিমেন্টের বস্তা দিয়েও পানি বন্ধের চেষ্টা করা হলেও বন্ধ না হয়ে পানি ভিতরে প্রবেশ করতে থাকে। কিন্তু তারমধ্যেই যাত্রীদের অনুরোধ উপেক্ষা করে লঞ্চটি চলতে থাকে।’
‘এক পর্যায়ে বেশি পানি ভেতরে আসতে থাকলে যাত্রীদের চাপের মুখে পড়ে বাধ্য হয় তাদেরকে নামিয়ে দিতে। এ সময় প্রায় ১০০ যাত্রী লঞ্চ থেকে নেমে যায়,’ যোগ করেন তিনি।