হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ জিকে শামীমের জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। একই সাথে তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে বিচারিক আদালতে অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আর মাদক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
এক মাস আগে এ দুটি মামলায় জিকে শামীম উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এ বিষয়ে কোনও তথ্য নেই।
এ প্রসঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এফআরখান বলেন, ‘অস্ত্র মামলায় জিকে শামীমের জামিন হয়েছে কি না সেটা জানি না। তবে প্রেসের মাধ্যমে জামিনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জামিন করা করা হয়েছে কি না সেটা মামলার নথি দেখে আমরা বক্তব্য দেব।’
তবে শামীমের আইনজীবী শওকত ওসমান বলেন, ‘আমরা কোনও ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় নেইনি। আদালত রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনেই দুটি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছে।’
এদিকে হাইকোর্টে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের আরও দুটি মামলায় জামিন চেয়েছেন জিকে শামীম। ইতোমধ্যে জামিন আবেদনের এফিডেভিট সম্পন্ন হয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। ওই অভিযানে যুবলীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতা ক্যাসিনোকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। সে সময় ২০ সেপ্টেম্বর নিকেতন থেকে গ্রেপ্তার হন জিকে শামীম। পরদিন তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাঁচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চারটি মামলা করা হয়।
এ চারটি মামলার মধ্যে অস্ত্র মামলায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জিকে শামীমকে ছয় মাসের জামিন দেয়। এর আগে মাদক মামলায় শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৪ ফেব্রুয়ারি এক বছরের জামিন মঞ্জুর করে।