প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা হয় শুধুমাত্র তার দল আওয়ামী লীগে, যার অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইতিহাস রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চর্চা করে এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চা বিরাজ করে।
জাপানে চার দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার ওয়েস্টিন হোটেলে এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীএসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শান্তিপূর্ণভাবে দুই মেয়াদ শেষ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি দেশের ইতিহাসে প্রথমবার যেখানে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি এবং নতুন রাষ্ট্রপতি শান্তিপূর্ণভাবে সমস্ত সম্পর্কিত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। এটি একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, সাবেক সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান তার সামরিক শাসনামলে নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করেছিলেন। আরেক সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছিলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশে ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছরে কোনো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু জাপান: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সেদিন কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিল না এবং কোনো গণতান্ত্রিক আইনের শাসন ছিল না।’
যারা দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন দেখতে পান না তাদের নিন্দা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধী দল বিএনপির ইতিহাস এতটাই কলঙ্কিত যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো মুখ নেই।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট মাত্র ৩০টি আসন পায় এবং আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট বাকি সব আসন পায়।
তিনি বলেন, এ কারণে তারা (বিএনপি-জামায়াত) ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
২০১৩-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা অন্তত ৫০০ মানুষকে হত্যা করেছে এবং অনেক সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা ধ্বংস করেছে।
‘এখন তারা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে এবং জনগণের কাছে ভোট চাইবে?’ তিনি প্রশ্ন তোলেন।
দেশকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত রাখতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ ব্যাপক সাফল্য বয়ে আনবে: জাপানি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী