বৃহস্পতিবার ইকুয়েডর থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এটি মানবতার জন্য এক বিজয়, সব দেশের মানবাধিকারকর্মীদের জন্য এক মাইলফলক।’
ড. মোমেন আরও বলেন যে এটি গাম্বিয়া, ওআইসি, রোহিঙ্গা এবং অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য এক বিজয়। ‘মানবতা এবং মাদার অব হিউম্যানিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মঙ্গল হোক।’
রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুরা বৃহস্পতিবার এক আইনি জয়ের দেখা পেয়েছে। তাদের ওপর গণহত্যা রোধে মিয়ানমারকে নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) সভাপতি বিচারপতি আবদুলকাউই আহমেদ ইউসুফ বলেন, আইসিজির অভিমত হচ্ছে যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে এখনও অতিশয় অরক্ষিত অবস্থায় আছে।
চারটি অস্থায়ী পদক্ষেপ সম্পর্কে আইসিজেতে করা আবেদনের সবগুলো ১৫ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করে রায় দেয়। এতে আদেশ অনুযায়ী মিয়ানমার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা চার মাসের মধ্যে দেশটিকে আদালতে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়। সেই সাথে প্রতি ছয় মাস পরপর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
আদালতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় এবং মিয়ানমারের দাবি খারিজ করে দিয়ে তাদের রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও নৃশংসতা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি আশাবাদী যে এমন আদেশ বিশ্বে জাতিগত নির্মূল ও গণহত্যার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করবে।