সন্ধ্যায় রাজধানীর এক হোটেলে এ রায় নিয়ে এক আলোচনা সভায় যোগ দেয়ার আগে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমারের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত দেশগুলোও জাতিসংঘের সদস্য হওয়ায় আইসিজের রায় মেনে চলতে বাধ্য। ‘সেদিক থেকে তারা আরও যত্নবান হবে যে কীভাবে মিয়ানমারকে তারা প্রভাবিত করবে। এ রায়টি নিরাপত্তা পরিষদেও যাবে। সুতরাং নিরাপত্তা পরিষদেরও দায় দায়িত্ব থাকবে। রায়ে (মিয়ানমারকে) প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও দায়বদ্ধতা থাকবে।’
তিনি জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র রাশিয়া, চীন, ভারত ও জাপানের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়াবে এবং বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে এসব দেশ যাতে মিয়ানমারের সাথে তাদের সম্পর্ক ব্যবহার করে রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান বের করতে সাহায্য করে।
আইসিজের রায় নিয়ে সচিব বলেন, ‘এটি কিন্তু প্রত্যাবাসনের বিষয় নয়। মামলাটি হলো গণহত্যার বিষয় নিয়ে। সুতরাং গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল কি ছিল না সেটিই হলো এ মামলার মূল বিষয়। সেটি তো আরও বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে ঠিক করতে। আর আপাতত যেগুলো (রায়ে নির্দেশ) দিয়েছে তা হলো অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ। এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এগুলো আরও বেশি সম্পর্কিত মিয়ানমারে সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য, যা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার জন্য পরোক্ষভাবে জরুরি।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ বিষয়ক মহাপরিচালক নাহিদা সোবহান, ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনের ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স প্রধান পেদ্রা মুন মরিস, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক প্রমুখ।