যশোর, ৩১ মে (ইউএনবি)- বাংলায় চলছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। আর এই সময়টাতে বাজারে রসালো আমের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত থাকেন ব্যবসায়ীরা।
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগুরী বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্রেতা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা এখানে এসে ভিড় জমিয়েছেন। উপস্থিত ক্রেতাদের আম সংগ্রহের ব্যাপারটা সত্যিই দেখার মতোন দৃশ্য। যেন একটা উৎসব।
বিক্রেতারা পর্যাপ্ত মজুদ নিয়েই বসেছেন এবার এবং বেশ ভালো দামও পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর আমের দাম বেশি।
আরও পড়ুন: ইউরোপ যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম
এলাকার বাগুরী বাজারসহ প্রায় প্রত্যেক বাজারেই পাওয়া যাচ্ছে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও লাক্ষা আম। এসব আম মণ প্রতি (৪০ কেজি) ৮০০ থেকে ২৪০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
গত বছর এই এলাকাতেই প্রতি মণ আম সর্বোচ্চ ২০০০ থেকে ২২০০ টাকাতে বিক্রি হয়েছে।
স্থানীয় আম বিক্রেতাদের সাথে ইউএনবি প্রতিনিধি কথা বললে তারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর আমের উৎপাদন কম হলেও চাহিদা বেশি থাকায় ভাল দাম পাচ্ছেন তারা। এলাকাটিতে ইতিমধ্যেই গোবিন্দ, বোম্বাই, গোপালভোগ আমের বিক্রি প্রায় শেষের দিকে। এখন বাজারগুলোতে শুধু হিমসাগর আর ল্যাংড়া আমই পাওয়া যাচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ীরা জানান, আর কয়েকদিন পরেই বাজারে আম্রপালি আম পাওয়া যাবে।
এই অঞ্চলের আমের স্বাদ ও সুখ্যাতির জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকেই পর্যটকরা এখানে আমের স্বাদ নিতে আসে বলে জানান এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: রাসায়নিক দিয়ে পাঁকানো হচ্ছে আম, আতঙ্কে ক্রেতারা
এলাকার এক আম চাষী রফিকুল বলেন, ‘ভরা মৌসুমে পুরো দমে আমের বিক্রি চলছে। গতবছর আমি প্রতি মণ আম ১২০০ টাকায় বিক্রি করলেও, এবছর ২০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি।’
অপর এক আম চাষী কোরবান আলী জানান, এবছর আমের বেশ ভালো দাম পাচ্ছেন তারা। বাজার এরকম থাকলে বড় ধরনের মুনাফা করতে পারবেন তারা।
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সৌতম কুমার শীল জানান, গতবছর আম্পানের প্রভাবে এই অঞ্চলের আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা বেশ ক্ষতির শিকার হয়েছিল। কিন্তু এই ফলন ও চাহিদা ভালো থাকায় বাজারেও ভাল দাম পাচ্ছেন চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
তিনি জানান, এবছর শুধু শার্শা উপজেলাতেই ৬৮০ হেক্টর জমিতে আমের ফলন হয়েছে।