আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, ট্রেড অ্যান্ড ইমপ্লয়মেন্ট বিষয়ক মন্ত্রী সাইমন কোভনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বন্ধু হিসেবে আয়ারল্যান্ডকে পাবে বাংলাদেশ এবং দুই দেশ বৃহত্তর ক্ষেত্রে 'ঘনিষ্ঠ ও আরও কাঠামোগত সহযোগিতা' গড়ে তুলতে ইচ্ছুক।

চলতি সপ্তাহে ঢাকায় দুই দিনের সরকারি সফর শেষ করার আগে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

কোভনি বলেন, 'আমি যেটি বলতে চাই তা হলো বাংলাদেশের উচিত আয়ারল্যান্ডকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বন্ধু হিসেবে দেখা। যদি তারা ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে কিছু কঠিন বিষয় নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে, তাহলে আয়ারল্যান্ড তাদের জন্য সমস্যাগুলো উত্থাপন করতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারে।’

আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে অন্তর্বর্তীকালীন সময় এবং এরপর বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা চাইবে, যা শুল্ক ও বাণিজ্যের সুযোগের ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে অগ্রাধিকারমূলক অবস্থান।

কোভনি বলেন, ‘আমি মনে করি ইইউ এ ব্যাপারে উন্মুক্ত। অবশ্যই, কিছু শর্ত থাকবে যা ইইউ বাংলাদেশের কাছ থেকেও চাইবে, শ্রম আইন, শ্রমিক অধিকার, পরিবেশগত বিষয়গুলোর সামগ্রিক আধুনিকীকরণ। ইইউর জন্য এটাই স্বাভাবিক। এটি প্রতিটি দেশের জন্য।’

তিনি বলেন, তারা সবসময় পরিবেশগত উন্নতি, কাজের পরিবেশ ও শ্রম উন্নয়নে জোর দেওয়ার চেষ্টা করেন। ‘আমি মনে করি যে এসব পুরণ করা সম্ভবপর।’

কোভেনির সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলডিসিতে উন্নীত হওয়ার সময়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইইউর বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা উপভোগে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় আয়ারল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের অংশীদার হতে পারে এমন ক্ষেত্রগুলো নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটু কথা বলেছেন।

বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে, তিনি বলেছিলেন, প্রযুক্তি, বিমানচালনা, খাদ্য ও পুষ্টি এবং ফার্মাসিউটিক্যালের মতো ক্ষেত্রে আইরিশ সংস্থাগুলোর জন্য এখানে অবশ্যই সুযোগ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কোভনি বলেন, এই সম্পর্ককে ঘিরে কীভাবে পরিকল্পনা তৈরি করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'তিনি (সালমান) পরিষ্কার করেছেন যে, তিনি কয়েকজন মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীকে নিয়ে আয়ারল্যান্ড সফর করতে চান, যাতে আমরা আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারি।’

মন্ত্রী কোভনি বলেন, তারা অন্যান্য উপায়গুলোও দেখেছেন যাতে তারা এখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সম্ভাব্য ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।

এখানে তৈরি করা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে অন্য দেশগুলোর কোম্পানিগুলোকে আসতে এবং মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান ও আয়ের ব্যবস্থা করতে উৎসাহিত করার বিষয়ে কথা বলেছেন তারা।

দুই দিনের সফরে কোভেনি নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উচ্চতর আয়ের দেশে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের অবস্থা এবং ইইউতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে এটি কীভাবে সম্পর্কের পরিবর্তন করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে আয়ারল্যান্ড এমন একটি দেশ যারা ইইউতে বাংলাদেশের বন্ধু হতে চায়। ইইউ যাতে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝে তা নিশ্চিত করতে তারা ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, 'আমি এখানে ইইউ দূতাবাসের উপপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক কখনোই এখনকার চেয়ে ভালো ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি কোনো সম্পর্কই নিখুঁত নয়, তবে বর্তমানের সম্পর্কটি একটি ইতিবাচক, দৃঢ় সম্পর্ক।’

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা

আইরিশ মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আয়ারল্যান্ডকে শক্তিশালী সমর্থক হতে হবে। তিনি বলেন, ‘বন্যা, বর্ষা ও সুনামির দিক থেকে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে বিশ্বের খুব কম দেশই আছে। এটি এমন একটি দেশ যারা জানে বৈরি আবহাওয়ার কারণে অনেক প্রাণ হারানোর অর্থ কী।’

তাই তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভবিষ্যতে আরও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া রোধের চেষ্টা করার আগ্রহ অনেক বেশি রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড এই ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে চায়। আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে এবং আমাদের অর্থনীতিকে কার্বনমুক্ত করতে খুব বেশি বিনিয়োগ করেছি। আমরা যে প্রযুক্তিগুলোতে বিনিয়োগ করছি তা বিনিময় করতে পেরে আমরা খুব খুশি।’

কোভনি মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতার একটি 'কৌশলগত ক্ষেত্র' হতে পারে।

বাংলাদেশের জন্য এটি কেবল জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন নয়, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনও হবে এবং তাই আয়ারল্যান্ড এখন আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করছে।

আরও পড়ুন: খুলনায় পোস্ট অফিসের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত

তিনি আরও বলেন, 'আমরা আয়ারল্যান্ডের অর্থায়নে বছরে ২২৫ মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত জলবায়ু অর্থায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  এই অর্থের বেশিরভাগই অভিযোজনে ব্যয় করা হবে, দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদের প্রতি আরও সহনশীল হতে সহায়তা করতে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। আর আমি মনে করি, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যার সঙ্গে আমরা এ ক্ষেত্রে কাজ করতে পারি।’

শিক্ষা খাতে সহযোগিতা

আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে বিশেষ করে স্নাতকোত্তরের জন্য আয়ারল্যান্ডকে বেছে নিতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই ভালো। আমি বলতে পেরে আনন্দিত, আমরা ইংরেজি ভাষাভাষী দেশ। আমরা এখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ। আমি মনে করি আয়ারল্যান্ডে আসা অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উপভোগ করে এবং তারা অনুভব করতে পারে তারা আয়ারল্যান্ডে মূল্যবান এবং আসলেই তারা তেমনই।’

মন্ত্রী জানান, এ বছর আয়ারল্যান্ডে ১০ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী রয়েছেন। ‘তাই আমরা আরও বৈচিত্র্য দেখতে চাই। আর এ কারণেই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরও স্বাগত জানানো হবে।’

বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে প্রায় ১৭ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমি যা শুনেছি তা হলো আয়ারল্যান্ডে তাদের খুব ইতিবাচক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা এটিকে সেভাবে রাখার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে চাই, যাতে তারা সম্মানিত বোধ করে এবং তারা একটি উচ্চমানের শিক্ষা পায় এবং ভবিষ্যতে ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের সুযোগের ক্ষেত্রে ভালো সংযোগ তৈরি করে।’

তথ্য প্রযুক্তি খাত

আইটি সেক্টর (তথ্য প্রযুক্তি ) আরেকটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র যেখানে কেউ কেউ গুরুত্ব সহকারে দেখছে। আইরিশ মন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ডকে নানাভাবে ইউরোপের সিলিকন ভ্যালি বলা হয়। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নয়টিরই শক্ত অবস্থান আয়ারল্যান্ডে।’

তিনি বলেন, সব শীর্ষ প্রতিষ্ঠান আয়ারল্যান্ডে রয়েছে এবং তারা সেখানে বিপুল সংখ্যক লোক নিয়োগ দেয়।

তিনি বলেন, ‘সুতরাং, আইরিশ প্রযুক্তি শিল্প বহুজাতিকভাবে চালিত হয়েছে। তবে সাইবার নিরাপত্তা, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম এবং ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মতো ক্ষেত্রেও অনেক আইরিশ প্রযুক্তি সংস্থা রয়েছে।’

আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, এআই ও মেশিন লার্নিং এবং রোবোটিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রচুর গবেষণা রয়েছে।

‘সুতরাং, আইরিশ প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম বহুজাতিক ও আইরিশ সংস্থাগুলোর একটি বাস্তব মিশ্রণ। সুতরাং আশা করি আমরা যা করতে পারি তা হলো কিছু আইরিশ প্রযুক্তি কোম্পানিকে বাংলাদেশে আসতে এবং এখানে অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করতে পারি। এটি ব্যাংকিং সিস্টেম হোক বা পরিষেবা শিল্প হোক বা অন্য কিছু।’

আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রীকে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

এভিয়েশন সেক্টর

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও কিছু আকর্ষণীয় সুযোগ রয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিশাল পরিধির বিমান শিল্প রয়েছে এবং বিশ্বের প্রায় অর্ধেক বিমান আয়ারল্যান্ড থেকে ইজারা দেওয়া হয়।’

বিমানের বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে জড়িত প্রচুর আইরিশ সংস্থা রয়েছে।  উৎপাদন,বিনোদন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিমানের সার্ভিসিং, বিমানের অর্থায়ন পর্যন্ত।

কোভেনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আইরিশ বিমান শিল্প ভারতে এবং উপসাগরীয় দেশগুলোতে - সৌদি আরব ও দুবাইয়ের মতো জায়গায় বেশ বড় ভূমিকা পালন করছে। তারা এখানে একইভাবে কাজ করতে না পারার কোনো কারণ নেই।’

তিনি বলেন, ‘এখানে এভিয়েশন শিল্প বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে আরও বেশি মধ্যম আয়ের পরিবার তৈরি হবে এবং এর অর্থ আরও বেশি লোক বিমানে চড়বে। আপনারা একটি নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ করছেন, অবশ্যই এখানে এই মুহূর্তে বা একটি নতুন টার্মিনাল। তাই আমরা মনে করি, সেখানে আইরিশ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের সুযোগ রয়েছে।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে এখানে আছে এবং আয়ারল্যান্ড ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে এ কাজে সহায়তার জন্য অতিরিক্ত দেড় মিলিয়ন ইউরো দিতে সম্মত হয়েছে।

তিনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকে ঘিরে নিরাপত্তার কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে তারা চায় রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে। অবশ্য আমরাও সেটাই চাই। কিন্তু আপাতত সেই অনুমতি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি সম্ভবত নেই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, নিরাপদে প্রত্যাবাসনের পথ সুগম করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টির বিষয়ে সহায়তা করতে আয়ারল্যান্ড আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করবে।’

তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তাদের স্বাস্থ্য চাহিদা ও শিক্ষার প্রয়োজনে সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করা আইরিশ এনজিওগুলোকে আমরা আর্থিকভাবে সমর্থন অব্যাহত রাখব।’

উচ্চ পর্যায়ের সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, যেকোনো সময় আয়ারল্যান্ড সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উন্মুক্ত আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে সুইডেনের রাজকুমারী

এটি আয়ারল্যান্ড সরকারের কোনো জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। ‘আমি অবশ্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট করব যে এখানে সত্যিকারের সুযোগ রয়েছে। একটি সত্যিকারের খুব উষ্ণ অভ্যর্থনা রয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ।’

মন্ত্রী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য তার (শেখ হাসিনা) পরিবার যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা স্মরণীয়।’

এর আগে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব অর্জনের লক্ষ্যে ত্যাগ, সংগ্রাম ও সহিংসতার ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস ও বাংলাদেশের ইতিহাসের মিল থাকা নিয়ে কথা বলেন।

এখানে নবনিযুক্ত অনারারি কনসাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাসুদ জামিল খান ইতিবাচক অবদান রাখার জন্য অত্যন্ত উৎসাহী ব্যক্তি। ‘তাই প্রথমবারের মতো এখানে আয়ারল্যান্ডের কূটনৈতিক অফিস চালু করা হলো।’

সফরকালে কোভনি ঢাকায় তার দেশের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করেন, যা বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সম্পর্ক জোরদারে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনা-চট্টগ্রামে জলবায়ু সহনশীল উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত