দীর্ঘ এক মাস পাঁচ দিন ধরে কলকাতায় আটকা পড়ে আছেন বাংলাদেশের জাহাজ এমভি মেরিন ট্রাস্ট ১-এর ১৫ নাবিক। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় বন্দীদশা থেকে মুক্তির করুণ আকুতি জানিয়েছেন এই নাবিকেরা।
জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ ভারতের কলকাতার নেতাজী সুবাস চন্দ্র ডকে (পণ্য খালাস স্থান) জাহাজে পণ্য বোঝাইয়ের সময় জাহাজটি উল্টে যায়। এ সময় কোনোমতে প্রাণে বেঁচে যান ওই নাবিকেরা। এরপর থেকেই তারা কলকাতার একটি হোটেলে প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
এদিকে ভিডিও বার্তা প্রকাশের পর শিপিং কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতাস্থ বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তারা আটকে পড়া নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে খুব দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কলকাতায় এক মাসের বেশি সময় ধরে আটকে থাকা বাংলাদেশি ওই জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী ফাহিম ফয়সাল জানান, গত ২০ মার্চ ১৫ জন নাবিক চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজ নিয়ে কলকাতায় যান। ২৩ মার্চ তারা কলকাতায় পৌঁছান। ২৪ মার্চ পণ্যবাহী কন্টেইনার তোলা শেষে একপাশে কাত হয়ে জাহাজটি উল্টে যায়। এ সময় নাবিকেরা দ্রুত জাহাজ থেকে নেমে কোনোমতে প্রাণ বাঁচান। এ ঘটনার পর থেকে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ে পোর্ট সংলগ্ন মেরিন ক্লাব হোটেলে (সি-ম্যান হোস্টেল) রেখেছে। সেখানে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।
১৫ নাবিকের পক্ষ থেকে বুধবার রাতে তিন মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা হয়েছে। সেখানে ডুবে যাওয়া জাহাজ এমভি মেরিন ট্রাস্ট ১ এর প্রধান প্রকৌশলী ফাহিম ফয়সালসহ অন্য নাবিকরা দেশে ফেরার আকুতি জানান।
এ সময় নাবিকরা দেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী