দিনাজপুরের খানসামায় শয়ন কক্ষ থেকে এক রশিতে ঝুলন্ত অবস্হায় স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বিছানায় ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল প্রায় সাত মাস বয়সী একমাত্র মেয়ে সন্তান আশা মনিকে। রবিবার সকালে উপজেলার ভাবকি ইউনিয়নের মারগাঁও গ্রামের পূর্ব হাজীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রবিউল ইসলাম (৩৫) ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে এবং সামছুন নাহার (৩২) পার্শ্ববর্তী আফাজ মেম্বার পাড়ার সমশের আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রবিউল ইসলাম পেশায় দিনমজুর। স্ত্রী সামছুন নাহার গৃহিনী৷ তারা পূর্ব হাজীপাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, খবর পেয়ে রবিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তারা মানসিক অশান্তিতে ভুগে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে অন্য কোন কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় জানান, বছর ১৫ আগে সংসার পেতেছিল রফিকুল সামসুন দম্পতি। বিয়ের পর এক পুত্র সন্তান ঘরে এসেছিল তাদের। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে রাগারাগি করে সেই সন্তানসহ নিজে বিষ পান করেছিলেন রফিকুল ইসলাম।
সন্তান বিষক্রিয়ায় মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বাবা রফিকুল ইসলাম।
মাস সাতেক আগে তাদের ঘরে আসে আশা মনি নামে একটি কন্যা সন্তান। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় লেগে থাকতো মনোমালিন্য। এতে প্রায়ই স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে দিন কাটাতে হতো স্ত্রী সামসুন নাহারকে।
সম্প্রতি স্ত্রীকে ঘরে ফেরায় রফিকুল।
রবিবার সকালে শয়ন কক্ষের বিম থেকে নামানো হয়েছে এই দম্পতির নিথর দেহ। তবে মৃত্যুর পিছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছেন তারা।
ভাবকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিন জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক।
রফিকুল ইসলাম কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি ছিল।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার