ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী রোগীর বাড়ির আঙ্গিনা ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা, ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং মশক নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকির লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
রবিবার সকাল ১০টায় ঢাকা ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ সময় মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগ ও এডিস মশার বিস্তার প্রতিরোধ করার জন্য আজ (রবিবার) থেকে আমরা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করলাম এবং এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আমরা সরাসরি তদারকি করব।’
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৬০
প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে মশক সুপারভাইজার ও মশক কর্মীরা নিয়োজিত আছেন উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘প্রত্যেকটি রোগীর ঠিকানা চিহ্নিত করে সেই বাসাবাড়ি ও স্থাপনার ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কোথাও যদি পানির উৎস, এডিস মশার উৎস থাকে সেটা নির্মূল করা। সেই এলাকা সকাল বেলা লার্ভিসাইডিং করা এবং বিকালে আবার সেই এলাকাটা যথাযথভাবে ফগিং (এডাল্টিসাইডিং) করে আমরা সম্পূর্ণভাবে মশক বিস্তার নির্মূল এবং নিয়ন্ত্রণ করার কার্যক্রম নিয়েছি।’
আগামী দুই মাস এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়ছে। শনিবার নতুন করে আরও ৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ৫৪ জন ঢাকা বিভাগের এবং বাকি ছয়জন ঢাকার বাইরের।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির পর ঢাকা শহরে এডিস মশার আতঙ্ক বেড়েছে
সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২০ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৭৬ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে ভর্তি আছেন ৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬৭০ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে এক হাজার ৪৪৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।