মে মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা এপ্রিলের তুলনায় ১০ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে রেমিট্যান্সের এই প্রবৃদ্ধি সুখবরই বলা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ রেমিট্যান্স হালনাগাদে দেখা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের একই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৭ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়াও গত এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসের রেমিট্যান্স ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে মার্চ মাসে ২.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের উচ্চতর বিনিময় হার এবং ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। যে কারণে রেমিট্যান্সের অভ্যন্তরীণ প্রবাহে এমন প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে প্রবাসীদের কাছ থেকে ১০.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স প্রবাহ উৎসাহিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগের পর এই পাঁচ মাসে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২ বিলিয়ন ডলার।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২.১১ বিলিয়ন, ফেব্রুয়ারিতে ২.১৬ বিলিয়ন, মার্চে ১.৯৯ বিলিয়ন, এপ্রিলে ২.০৪ বিলিয়ন এবং মে মাসে ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে বাংলাদেশে।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, রেমিট্যান্স প্রদানকারীদের জন্য বৈধ চ্যানেলে আর্থিক ও অ-আর্থিক সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলে বাংলাদেশ আরও বেশি রেমিট্যান্স অর্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, অবৈধ উপায়ে প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি হওয়ায় রেমিট্যান্সকারীরা হুন্ডিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। বিনিময় হারের তারতম্যের কারণে বৈধ রেমিট্যান্সের বদলে অবৈধ হুন্ডিতে টাকা পাঠাচ্ছেন তারা।
সরকার স্বাস্থ্য কার্ড, বীমা কভারেজ, পেনশন সুবিধাসহ বিভিন্ন সুবিধা ঘোষণার মাধ্যমে এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করেন আহসান এইচ মনসুর।