সোমবার বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান বুলু।
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়: মন্ত্রী
তিনি পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমপি পাপুলের বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকার অনেক পেছনে ছিল। আমরা আদালতে বলেছি এটা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। আমরা আদালতে দ্রুত রুল শুনানির আবেদন জানিয়েছি। আদালত ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় শুনানির সময় ধার্য করেছে।’
এর আগে, নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়া ও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দাখিল করায় পাপুলের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া।
এমপি পাপুলের কারাদণ্ডের মাধ্যমে সরকারের দুর্নীতি ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ পেয়েছে: বিএনপি
রিট আবেদনটির শুনানি নিয়ে ১৮ আগস্ট পাপুলের এমপি পদ কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। পরে মামলাটি বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য আসে।
রিটে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্য পাপুলকে বিবাদী করা হয়।
কুয়েতে এমপি পাপুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড
উল্লেখ্য, অর্থপাচার ও মানবপাচারের মতো অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে গত ২৮ জানুয়ারি স্বতন্ত্র এমপি পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ৫৩ কোটি ২১ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওসমান এমপি পাপুলকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেন।