তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে পুরো দেশকে লকডাউন করতে পারি না। এ জন্য সংক্রমণের হার নিরুপণপূর্বক এলাকাভিত্তিক ক্লাস্টার করে লকডাউন করাটাই সবচেয়ে উপযোগী।’
বুধবার পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউনে থাকা রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ইরান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউন কার্যকরে সিটি করপোরেশনের সাথে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা একযোগে কাজ করছে। ডিএনসিসি মেয়র সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তার কাউন্সিলররাও নিবেদিতপ্রাণ। আমি নিজেও সার্বিক বিষয় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। মেয়রের নির্দেশে এখানে স্ট্যান্ডবাই একটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে যেকোনো ইমারজেন্সির জন্য।’
রাজাবাজার নতুন লকডাউন হতে যাওয়া অন্যান্য এলাকার জন্য উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা রেখেছি। যারা ক্রয় করতে পারছেন না, দরিদ্র মানুষ, তাদের বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য দেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। আর যারা স্বচ্ছল পরিবার তাদের চাহিদা অনুযায়ী খাবার ক্রয় করে হোমডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। এভাবে আমরা ঢাকা শহরসহ অন্য যেসব এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেশি সেখানে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সারা বাংলাদেশকে ব্যাপক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা যাবে।’
আরও পড়ুন: কমিউনিটি অন্তর্ভুক্তি ছাড়া লকডাউন সম্ভব নয়: মন্ত্রী
এ সময় মেয়র আতিক বলেন, ‘আমরা টেকনিক্যাল কমিটিকে বলেছি, নতুন যে জোনিং করা হচ্ছে সেটি কীভাবে আরও সুনির্দিষ্ট করা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সে বিষয়ে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী। তবে এ মুহূর্তে আমাদের দরকার সামাজিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসা।’
লকডাউনের শুরু থেকেই রাজাবাজার এলাকাকে নিয়মিত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ এবং খোঁজ রাখা হচ্ছে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র।
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ জনগণ যখন এগিয়ে আসবে, এলাকাবাসী যখন নিজেদের এলাকাকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবে, তখনই আমরা সফল হব। আমাদের কাউন্সিলর, সেনাবাহিনী, পুলিশ, সিটি করপোরেশন সবাই একযোগে কাজ করছি। আমি বিশ্বাস করি, আমরা পরবর্তীতেও যেসব এলাকা লকডাউন করব, সেসব এলাকার জনগণ যদি আমাদের নির্দেশনা মেনে চলে, আমাদের সহায়তা করে তবে আমরা নিজেরা রক্ষা পাব, জনগণ রক্ষা পাবে, রক্ষা পাবে পুরো বাংলাদেশ।’