যশোর বোর্ডে এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ বেশি।
জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৪৬১ জন। এ বছর জিপিএ ৫ এর সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৭৬৭ জন।
যশোর বোর্ডের প্রকাশিত ফল থেকে জানা গেছে, এবার এই বোর্ড থেকে এক লাখ ৮১ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে এক লাখ ৬৬ হাজার ৪৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৮৪ হাজার ৬৫৯ ও ছাত্রী ৮১ হাজার ৭৮০ জন। গত বছর এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩৫ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ ১ লাখ ৪০ হাজার ২৫৮ জন। পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯৬.২৭ শতাংশ
শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, এ বছর যশোর বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৭ হাজার ৮২৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৬ হাজার ৪২৯ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২২৪ জন।
মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৪০৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে এক লাখ চার হাজার ৩৯৬ জন। পাসের হার ৬০ দশমিক ৬ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৩৬৯ জন।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ২৬ হাজার ৩২৮ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ২৫ হাজার ৬১৩ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬৮ ছাত্রছাত্রী।
এদিকে, বৃস্পতিবার সকালে যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এবারের ফলের চিত্র তুলে ধরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার শুধু তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের মতো আবশ্যিক বিষয়ে জেএসসির ফলের ভিত্তিতে নম্বর বণ্টনের সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার কমেছে
তিনি জানান, সাধারণত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া হয়। কিন্তু করোনার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় আট মাস পর নভেম্বরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফল শিক্ষার্থীরা স্কুল ও মাদরাসা থেকে জানতে পারবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএস ও অনলাইনে সার্চ করেও ফল জানাতে পারবে বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র।