কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ২ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে টুরিস্ট পুলিশের একটি দল।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার শহরের ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মেহেদী হাসান বাবু কক্সবাজার শহরের আবুল কাশেমের ছেলে ও ঘটনার মূল হোতা আশিকের সহযোগী।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদারীপুর থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক। এর আগে ঘটনার পরদিনই র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামি হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
আরও পড়ুন: চাঁদার ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে কক্সবাজারে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
প্রসঙ্গত, পর্যটক দাবিদার এক নারী দাবি করেছেন, গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে শহরের সন্ত্রাসী আশিক তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে র্যাব অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের হোটেল জিয়া গেস্ট ইন থেকে ধর্ষণের শিকার তাকে উদ্ধার করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে হোটেলের ম্যানেজার ছোটনকে আটক করে র্যাব। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় এজাহারনামীয় ৪ জনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন আশিকুর রহমান ও তার তিন সহযোগী ইস্রাফিল খোদা ওরফে জয় ও মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। মামলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: হোটেল ম্যানেজার ৪ দিনের রিমান্ডে
কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল গ্রেপ্তার