এ ঘটনায় তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিন জেল খাটতে হবে। পাশাপাশি এই আইনজীবীকে তিন মাসের জন্য আইন পেশা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার ভার্চুয়াল আদালত ফেসবুকে বিরূপ স্ট্যাটাস দেয়ার ঘটনায় ইউনুছ আলী আকন্দের বিরুদ্ধে রায়ের জন্য ১২ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করা হয়। রবিবার ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত তার ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন গ্রহণ করেননি।
আপিল বিভাগ সূত্র জানায়, ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এই প্রথম কোনো আইনজীবীকে সাজা দেয়া হলো।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়াল আদালত নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ স্ট্যাটাস দেয়ায় ইউনুছ আলী আকন্দকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিস করা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তার স্ট্যাটাসটি ফেসবুক থেকে মুছে দিয়ে অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন আদালত।
এই আইনজীবীর স্ট্যাটাস আদালতের নজরে আনার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স্ট্যাটাসটি আদালতের নজরে আনেন রবিবার পদত্যাগকারী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।