রবিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে।
সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে (স্পেন সময়) বিমানটি মাদ্রিদ টরেজোন বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে রাষ্ট্রদূত ও বিশ্ব পর্যটন সংস্থায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ খন্দকার প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কপ ২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরে ফেরিয়া দে মাদ্রিদে (আইএফইএমএ) একটি কার্যনির্বাহী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
পরে এক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেয়ার পর শেখ হাসিনা আবারও কপ ২৫ এর কার্য অধিবেশনে অংশ নেবেন। বিকালে প্রধানমন্ত্রী স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে আরেকটি বৈঠক করবেন।
সন্ধ্যায় তিনি রয়েল প্যালেসে স্পেনের কিং ও কুইন আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এদিকে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত প্রতিকূলতাকে জয় করে সহনশীল অর্থনীতি হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে বাংলাদেশ যেসব ভবিষ্যত কর্মকৌশল গ্রহণ করেছে তা আসন্ন মাদ্রিদ জলবায়ু সম্মেলনে তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, ‘সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা বিশ্ব দরবারে আরও একবার তুলে ধরা সম্ভব হবে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল ও জলবায়ু ঝূঁকিপূর্ণ দেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।’
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ২ ডিসেম্বর স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং এতে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যেমন- উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, পারস্পরিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা মতবিনিময় করবেন। প্রধানমন্ত্রী একই দিনে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সাথে বৈঠক এবং ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ও অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বৈশ্বিক আলোচনা এবং দেন-দরবারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ধারণাগুলো, ভূমিকা ও অবদান বিশ্ব দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত।
প্রধানমন্ত্রী ২ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সভায় যোগ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের অবস্থান বিষয়ে বক্তব্য দেবেন। তিনি জলবায়ু বিষয়ে বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি জলবায়ু সংক্রান্ত আলোচনায় ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’-এর প্রতি গুরুত্বারোপ এবং ‘ওয়ারশ ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজম’-এর ম্যান্ডেট আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানাবেন।
৩ ডিসেম্বর বিশেষ বিমানযোগে প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে মাদ্রিদ ত্যাগ করবেন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন রাষ্ট্রদূত ও বিশ্ব পর্যটন সংস্থায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ খন্দকার।
বুধবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) বিমানটির হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।