ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫১তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে বিশেষ এই অনুষ্ঠানে উভয় দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই বক্তব্যে ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনে কম্বোডিয়ার জাতির পিতা প্রিন্স নরোদম সিহানুকের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভার কথা স্মরণ করে ২০১৪ ও ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের সফরের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক অনন্য মাত্রা পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটন ডিসিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন
এছাড়া তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আগামী দিনে নতুন উচ্চতায় যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি অফ স্টেট কোয়ে কুয়ং তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে তার দেশের প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের অত্যন্ত ইতিবাচক মনোভাবের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জাপানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
তিনি বাংলাদেশের ৫১ বছরের উন্নয়ন যাত্রায় এবং দেশ গঠনে জনগণ ও বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সফল নেতৃত্বের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। এবং এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগতিক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা ও কম্বোডিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।