বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশে করোনার চলমান দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে অবস্থা আরও খারাপ হলে, অক্সিজেনসহ অন্যান্য মেডিকেল সহায়তা দিতে প্রস্তুত চীন।
করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবেলায় বাংলাদেশ চীন একসাথে একে অপরকে যেভাবে সহায়তা করেছে তা স্মরণ করে তিনি বলেন যদি দরকার হয় তবে চীন আরও সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় চীন সাধ্য মতো সহায়তা করবে বলে জানান চীনের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, এই শতকের জন্য এটি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় একমাত্র আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেই এক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই চীন থেকে ভ্যাকসিন পেতে আশাবাদী ঢাকা
লি জিমিং আরেও বলেন, ‘করোনা মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশের পক্ষে যা সম্ভব তাই করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ সরকার এবং তাদের জনগনের যৌথ প্রচেষ্টায়।’
সোমবার ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিসিএবি) এর আয়োজিত ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত একথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিসিএবি এর সভাপতি প্রান্ত রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আকম মইনুদ্দিন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বিশ্বাস করি নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য চীনের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই ভ্যাক্সিন বাংলাদেশের জনগণকে এই মহামারী কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: করোনা: এবার চীনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল সরকার
বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয়া চীন সরকারের ৫ লাখ ভ্যাকসিন আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের সিনোফ্রাম করোনা ভ্যাকসিনকে বিশ্বব্যাপী জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে। সিনোফ্রাম একটি অক্রিয়াশীল ভ্যাকসিন যেটা SARS-CoV-2 ভ্যাকসিন নামে পরিচিত।
সকল বয়সী লক্ষণাত্মক এবং হসপিটালাইজ রোগীর ক্ষেত্রে এটি ৭৯ শতাংশের ও বেশি কার্যকর। এবং এটির সংরক্ষণ সুবিধার কারণে এটি বেশি ব্যাবহারযোগ্য উপায়।