শনিবার সকাল ১০টায় তার প্রতিষ্ঠিত সরাইলের জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদরাসায় এ নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদরাসার প্রান্তর ছাড়িয়ে জানাযার সারি দীর্ঘ হয় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। এতে ইমামতি করেন আহমেদ আনসারীর ছেলে মাওলানা আসাদ উল্লাহ।
অন্যান্যের মধ্যে জানাযায় যোগ দেন- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমীর ইসমাইল নূরপুরী, মহাসচিব মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, মাওলানা জালাল উদ্দিন, আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় নেতা মহসিনুল হাসান, জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেম মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মোবারক উল্লাহ, জেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাঈনুল ইসলামসহ বিভিন্ন মাদারাসার শিক্ষকরা।
লকডাউন থাকা সত্বেও এমন জনস্রোত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএসএম মোসা জানান, ‘বিষয়টি দেখার দায়িত্ব পুলিশের। পুলিশই ভাল বলতে পারবেন।’
যোগাযোগ করা হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মাসুদ রানা বলেন, ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু জনসমাগম কমাতে পারেনি। হুজুরদের বুঝিয়েছি। কিন্তু মানুষজন সচেতন না হয়ে এমনটি করেছে।’
গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের জন্য সারা বাংলাদেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণার দুদিন পর এ ঘটনায় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় জেলা শহরের মার্কাস পাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আহমদ আনসারী(৫৯)।তার বাড়ি জেলার নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওই এলাকা থেকে ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চের শেষ দিক থেকে অঘোষিত লকডাউনের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পরস্পর থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারের পক্ষ থেকেও দেশে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং একমাত্র জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।