বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের করণীয় ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি, মানসিক চাপ ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে ঘরবন্দী নারী ও শিশুরা। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত অনেক নারী কর্মীরা কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে তাদের অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তার ওপর।
‘তবে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত এক লাখ কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নারীরা উপকৃত হচ্ছেন। এক কোটি পরিবারকে সরকার খাদ্য সহায়তা ও শিশু খাদ্য বিতরণ করছে। নারী এবং শিশুদের উন্নয়ন ও সুরক্ষায় এ মন্ত্রণালয় থেকেও নতুন প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।
করোনায় পারিবারিক সহিংসতা ও বাল্যবিয়ে বেড়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য বা পরিসংখ্যান নেই। সারা বিশ্বে নারী ও শিশুরা সহিংসতার শিকার হচ্ছে, বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, নারী ও শিশুর প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে।’
এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আক্তার, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভিন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূর ও বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা।