সোমবার সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সাথে তার খাস কামরায় সাক্ষাৎ করে এ অনুরোধ জানান।
পরে আমিন উদ্দিন বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা আইনজীবী সমিতি বসে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আদালতে লোকসমাগম কম রাখতে চলমান অবকাশ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য সবাই সম্মতি দিয়েছেন। এ অবস্থায় সমিতির পক্ষ থেকে নেয়া একটি রেজুলেশন প্রধান বিচারপতিকে দিয়েছি। তাতে দুই সপ্তাহের জন্য অবকাশ বাড়ানোর অনুরোধ রয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেছেন এটা দেখবেন।’
গত ১৩ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শুরু হয় এবং তা চলবে ২৮ মার্চ পর্যন্ত। অবকাশকালে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শুনানি করার জন্য অল্প কয়েকটি অবকাশকালীন বেঞ্চ চালু রয়েছে। এতে উচ্চ আদালতে লোকসমাগম কম হচ্ছে।
মারাত্মক সংক্রামক করোনাভাইরাস থেকে রেহাই পেতে লোকসমাগম থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় উচ্চ আদালতের অবকাশ বাড়াতে অনুরোধ জানাল আইনজীবী সমিতি।
এদিকে, জামিন ও জরুরি বিষয় ছাড়া সব মামলার শুনানি মূলতবি করার জন্য রবিবার অধস্তন আদালতকে নির্দেশনা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে জনসমাগম পরিহার করা প্রয়োজন।
এর আগে মুজিবর্ষ উপলক্ষে ১৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছিলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা সচেতন। আমরা সব জজ বসে সিদ্ধান্ত নেব যে এটা নিয়ে কী করা যায়। আপাতত এখন কোর্ট বন্ধ (অবকাশকালীন ছুটি) আছে। খোলার আগে আমরা একবার সবাই বসব। সাধারণ মানুষ ও বিচারপ্রার্থীদের যেন ক্ষতি না হয়, সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সবকিছু খেয়াল রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’