নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস সেন্টারের উদ্যোগে ১৯ জন নোবেলজয়ী, ৩২ জন সাবেক সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনৈতিক নেতা, শিল্পী, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রধানসহ ১১১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
এতে বলা হয়, একটি মহামারি পরিষ্কারভাবে একটি দেশের স্বাস্থ্যপরিচর্যা ব্যবস্থার শক্তি ও দুর্বলতাকে উন্মোচিত করে এবং একইসাথে এই ব্যবস্থায় জনগণের প্রবেশাধিকারের বাধা ও অসমতাগুলো তুলে ধরে। আগত ভ্যাকসিনের প্রচারণার কার্যকারিতা নির্ভর করবে এর সার্বজনীনতার উপর।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা বিভিন্ন সরকার, ফাউন্ডেশন, পরোপকারী ব্যক্তি ও সামাজিক ব্যবসাসমূহকে এই ভ্যাকসিনগুলো বিশ্বব্যাপী বিনামূল্যে উৎপাদন এবং বিতরণ করতে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে সকল বৈষম্যের উর্ধ্বে থেকে সকল দুর্বল মানুষকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব পুনর্ব্যক্ত করতে আহ্বান জানাচ্ছি।
জাতিসংঘ মহাসচিব, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক, ধর্মীয় নেতা, সামাজিক ও নৈতিক জগতের নেতারা, গবেষণাগার ও ওষুধ কোম্পানিসমূহের নেতা এবং মিডিয়া জগতের নেতাদের এই মর্মে একত্রিত হতে ও এটা নিশ্চিত করতে অনুরোধ করছি যেন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আমরা এই মর্মে একটি বৈশ্বিক সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি যে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে বিশ্বব্যাপী একটি সর্বসাধারণের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য ও ব্যবহার করা হবে।
আমরা সকলকে VACCINECOMMONGOOD.ORG ওয়েব সাইটে তাদের স্ব-স্ব প্রতিশ্রুতি নিয়ে যোগদান করতে আহ্বান জানাচ্ছি।
আমরা আশা করছি আপনার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আমাদের এই প্রতিশ্রুতিতে সমবেত হতে এবং এই বার্তা বিশ্বের সর্বত্র পৌঁছে দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ডেসমন্ড টুটু, মিখাইল গর্বাচেভ, মালালা ইউসাফজাই, বনো, রিচার্ড ব্র্যানসন, লেস ওয়ালেসা, জোডি উইলিয়াম্স, মাহাথির মোহাম্মাদ, লুলা, জর্জ ক্লুনি, শ্যারন স্টোন, ফরেস্ট উইটেকার, লিমা বুয়ী, মেরি রবিনসন, তাওয়াক্কল কারমান, রতন টাটা, আজিম প্রেমজি, শাবানা আজমি, অ্যান ইদালগো, টমাস বাখ, আন্ড্রেয়া বোচেলিসহ বিশ্ব নেতারা রয়েছেন।