দ্বিতীয় ডোজ
দ্বিতীয় ডোজের গণটিকা কার্যক্রম শুরু, একদিনে পাবে ৮০ লাখ লোক
দ্বিতীয় দফায় টিকা ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজ আজ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই গণটিকা কার্যক্রম চলবে বিকাল তিনটা পর্যন্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে দুইদিনে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করলেও দ্বিতীয় ডোজে একই দিনে ৮০ লাখ লোককে টিকা দিতে চায় তারা।
সকালে অধিদপ্তরেরলাইন ডিরেক্টর ও টিকা ব্যবস্থা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, তারা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সব জেলায় টিকা পাঠানো হয়েছে। এক দিনে ৮০ লাখ লোক টিকা পাবে বলে আশা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
শামসুল হক বলেন, সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এই ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে প্রয়োজন হয় ৩ টার পরও এই ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি চলমান থাকবে। সারাদেশে সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলায় এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে এবং ক্যাম্পেইন চলাকালে শুধু দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ৮০ লাখ মানুষকে একসঙ্গে টিকা দেয়ার কথা ছিল। তবে এক দিনে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হয়নি। ২৯ সেপ্টেম্বরসহ ৮০ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৬ জনকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা উৎপাদনে এএফসি-ঢাবির চুক্তি
৩-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেবে চীন
৩ বছর আগে
গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু
দেশব্যাপী গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে।
শহর এলাকায় গত ৭ ও ৮ আগস্টে প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীরা আজ টিকা নিয়েন। ৯ ও ১০ আগস্টে টিকা গ্রহণকারীরা ৮ সেপ্টেম্বর এবং ১১ ও ১২ আগস্টে টিকা গ্রহণকারীরা ৯ সেপ্টেম্বর টিকা নেবেন।
শহরের বাইরে ৭ আগস্ট যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা ৭ সেপ্টেম্বর (আজ) দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। যে কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হয়েছিল, একই কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হবে।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে। একদিনে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৩৯ জনের।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, নতুন মৃত্যুসহ দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৬ হাজার ৬৮৪ জনে। আর এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৯ হাজার ৮০৫ জনে।
এর আগে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জনের মৃত্যু ও ২ হাজার ৭১০ আক্রান্ত হয়েছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ২৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসময় শনাক্তের হার ৯.৬৯ শতাংশ। দেশে মৃত্যুর হার ১.৭৬ শতাংশ। এই পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৫৪ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৬.১১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক কোটি ডোজ টিকা দেবে ইইউ
করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে
জবিতে ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
৩ বছর আগে
অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে আজ
ঢাকার সব জেলা ও মহানগরে আজ সোমবার থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় টিকার ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে। এছাড়া আগামী ৭ আগস্ট দেশের সকল কেন্দ্রে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে।
রবিবার (০১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনা স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামীকাল (সোমবার) ঢাকা বিভাগের সকল জেলায় এবং আগমী ৭ আগস্ট দেশের সকল কেন্দ্রে ঘাটতি টিকার ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম ডোজের পর অপেক্ষমানদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হবে। তবে দ্বিতীয় ডোজের জন্য ইতোপূর্বে যাদেরকে এসএমএস দেয়া হয়েছিল কিন্তু টিকা পাননি তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসএমএস প্রয়োজন হবে না।
পরিচালক বলেন, জাপান থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সোয়া দশ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ এসেছে। আগামী মঙ্গলবার আরও সোয়া ছয় লাখ ডোজ আসবে। এতে ঘাটতি টিকার সংস্থান হয়েছে। ফলে এ টিকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষামানদের পূণাঙ্গ টিকা দেয়া সম্ভব হবে।
পড়ুন: সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রায় ৮ লাখ টিকা
দু’একদিনের মধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু
গত ফেব্রুয়ারি থেকে কোভিশিল্ড টিকার মাধ্যমে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করে সরকার। তবে টিকার ঘাটির কারনে ১৫ লাখ ২১ হাজার ব্যক্তি দ্বিতীয় ডোজ পাননি। এ টিকা প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ।
৩ বছর আগে
দু’একদিনের মধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু
জাপানের কাছ থেকে টিকা প্রাপ্তির ফলে দ্বিতীয় ডোজের চিন্তা দূর হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী দু’একদিনের মধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এই টিকার গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ আমাদের দেশে ১৫-১৬ লাখ লোক অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ টিকার অপেক্ষায় আছেন। আমরা কাল-পরশু থেকেই এই টিকা দ্বিতীয় ডোজ তাদের দেয়া শুরু করবো।’
শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপানের উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় চালান গ্রহণ শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা আজকে ৭ লাখ ৮০ হাজার ডোজ টিকা পেয়েছি। কিছুদিন আগে দুই লাখের বেশি পেয়েছি। সব মিলিয়ে ১০ লাখের বেশি পেয়েছি জাপান সরকারের কাছ থেকে। আগস্ট মাসের মধ্যই আরও ৬ লাখের বেশি টিকা আসবে। তখন সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখে বেশি পাবো আমরা।
পড়ুন: দু’একদিনের মধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু
দেশে পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রায় ৮ লাখ টিকা
মন্ত্রী বলেন, টিকা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিদর্শনায় ও গাইডলাইনস আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। এপর্যন্ত টিকার মজুদ আছে দুই কোটি ৪০ লাখ। টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি ৩০ লাখ। বর্তমানে সরকারের হাতে আছে এক কোটি ২১ লাখ টিকা এবং চীন থেকে আরও ৩৪ লাখ টাকা আগামী সপ্তাহে দেশে আসবে। এই মাসেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে। আগামী মাসে ফাইজার থেকে ৬০ লাখ টিকা আসবে।
এর আগে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে জাপান সরকারের উপহারের ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একেএম আব্দুল মোমেন।
পড়ুন: পাটুরিয়াঘাট দিয়ে ঢাকায় ছুটছে মানুষ
৩ বছর আগে
১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকার সুযোগ আছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম ডোজের টিকা নেয়ার পর ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধারণ করুন। ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত টিকা দেয়ার সুযোগ থাকবে। এর মধ্যেই সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করছে টিকা সংগ্রহের জন্য। আমরা আশাবাদী, এই টিকা সংগ্রহ হবে এবং দ্বিতীয় ডোজ সবাই পেয়ে যাবেন।’
বুধবার (২৬ মে) অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ তথ্য জানান।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ রয়েছে, আর দ্বিতীয় ডোজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের যে পরিমাণ টিকা রয়েছে, সেটা দিয়ে প্রথম ডোজ গ্রহীতা সবাইকে টিকা দেয়া যাবে না।’
তিনি জানান, একই সাথে চীন থেকে উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা মঙ্গলবার (২৫ মে) ৫০১ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে এবং তাদের কারও মধ্যে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। আগামী সাত থেকে ১০ দিন তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
দেশে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ানো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে এ সময় জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘এ রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি, চিকিৎসা ব্যয় ও ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি বিরল জাতের রোগ, এটি খুব বেশি সংখ্যক মানুষের হয় বলে তথ্য-উপাত্ত আমাদেরকে বলে না। তবে অবশ্যই এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল, এতে কোন সন্দেহ নেই। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা গত কিছুদিন যাবৎ ক্রমাগত কাজ করছি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি আছে, তাদের সাথে আলোচনা করেছি এবং একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করার চেষ্টা করছি। একইসাথে এই রোগ মোকাবিলায় যেসব ওষুধপত্র লাগে, সেগুলো কীভাবে সহজলভ্য করা যায় সেগুলো নিয়েও আমরা কাজ করছি। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেব।’
‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধগুলো সহজে পাওয়া যায় না। তাই এই পরিস্থিতিতে কেউ যেন দাম নিয়ে সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা অগ্রসর হচ্ছি,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা দেখেছি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুজন রোগী পাওয়া গেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার নিশ্চিত করে ফলাফলগুলো হাতে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা যদি একটুখানি অপেক্ষা করি, তথ্য-উপাত্ত হাতে পেয়ে সবাইকে জানাই তাহলে সবার মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হবে না। এখানে আমরা পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করা উচিত।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি মিউকরমাইকোসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরণের উদ্বেগ বা উত্কণ্ঠা তৈরি হয়েছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই রোগটি আদিকাল থেকে আমাদের পরিবেশের সঙ্গে আছে। বিশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষেত্রবিশেষে এর প্রাদুর্ভাব ও সংখ্যাধিক্য দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যেসব রোগীর ক্ষেত্রবিশেষ স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হয় ও যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মেলাইটাস আছে তাদের জন্য ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সত্যিকার অর্থেই বিপদের কারণ হতে পারে। আমরা পরিস্থিতির দিকে গভীর পর্যবেক্ষণে করছি, আমরা আশা করছি এটি কোন অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারবে না।
৩ বছর আগে
অন্যান্য দেশ থেকেও করোনার টিকা আনার উদ্যোগ সরকারের
ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও সরকার করোনার টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ক্লিনিক ভবনে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি কম: গবেষণা
ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা জানেন, করোনার দ্বিতীয় ডোজের প্রাপ্যতা নিয়ে অনেক সংশয় ছড়ানো হয়েছিল। কিছু পত্রপত্রিকা, প্রচার মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালিয়ে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরির অপচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ইতোমধ্যেই প্রায় ১৭ লাখ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই করোনা মহামারির মধ্যে মানুষকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা দেয়ার জন্য প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিলেন এবং সেই কারণে এই মরণঘাতী করোনা মহামারি মোকাবিলা ও জনগণকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা নয়, অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা আনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।’
এ সময় গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘গুজব প্রতিরোধে আপনারা সবসময়েই সচেষ্ট ছিলেন, এখনো নানা ধরণের গুজব রটনার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আপনাদেরকে সোচ্চার থাকার অনুরোধ জানাই।’
৩ বছর আগে
করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সময় এই আশ্বাস দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগ সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি ৮ এপ্রিল শুরু হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না কারণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ভারত থেকে ভ্যাকসিন পাবে।
তিনি বলেন, চলমান ৭ দিনের কোভিড-১৯ লকডাউন বাড়ানো উচিত কি না তা সরকার আগামী বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা করে জানাবে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ হাজার ৭৫ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৯ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৩১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় একদিনে রেকর্ড ৭ হাজার ৮৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি পরীক্ষাগারে ৩১ হাজার ৯৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩০ হাজার ২৩৯টি নমুনা।
আরও পড়ুন: করোনা: বিশ্বে মৃত্যু ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়াল
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.৪০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৩২ জন। এ নিয়ে দেশে মোটসুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমকি ১৯ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশব্যাপী লকডাউন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ এবং বর্তমান পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে সরকার সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য জনগণের চলাচল ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের খবরে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রবিবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করে যা ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
৩ বছর আগে