সংকট কাটিয়ে দুদেশের মধ্যে আরও দৃঢ় অংশীদারিত্ব তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশের জনগণকে লেখা এক খোলা চিঠিতে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, সংহতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়াকে জয় করবে এবং মানবজাতির এক উজ্জ্বল ভবিষ্যত রচনা করবে।
তিনি বলেন, এ বছর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪৫ বছর। এত দিন ধরে উভয় দেশ একে অপরকে সম্মান করেছে, বুঝতে শিখেছে এবং সমর্থন করে এসেছে।
রাষ্ট্রদূত জিমিং বলেন, সব ক্ষেত্রে দুদেশের বাস্তবসম্মত সহযোগিতা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। যা কেবল দুদেশের মানুষকেই নয়, সমগ্র এ অঞ্চলের উন্নয়নকে প্রসারিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট ও যৌক্তিকভাবে বোঝা যা যে মহামারির কারণে চীন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব খুবই অস্থায়ী এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য।’
তার এ চিঠিতে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কমুউনিটি অব কমন হেলথ’ তৈরিতে আমরা বাংলাদেশের সাথে থাকব। চীন সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ২ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে এবং ৮৯টিরও বেশি দেশকে চিকিৎসা সেবা ও বিশেষজ্ঞ দিয়ে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে।
এরই মধ্যে মারাত্মভাবে আক্রান্ত ইরান, ইরাক, ইতালি ও সার্বিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে চীনা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের সাতটি দল প্রেরণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন সরকার ও সেদেশের নাগরিক সংস্থাগুলো আক্রান্ত শহর ও দেশে বিভিন্ন ধরনের অনুদান দিচ্ছে।
জিমিং বলেন, ‘মার্চ মাসের প্রথম থেকেই বাংলাদেশ আক্রান্ত হওয়া রোগীদের শনাক্ত করতে থাকে যা পরে কিছুটা বেড়েছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার এ রোগ প্রতিরোধের জন্য একাধিক সংকল্পবদ্ধ, দৃঢ় এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেয়া যাবে তা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে।’
করোনা মহামারি বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এ সময়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন দূতাবাসের বাংলাদেশের প্রতি পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আছে এবং এতে বাংলাদেশের সাথে চীনারা সংহতি জানাতে চায়। ‘সবার এ শত্রুর বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে আমরা বাংলাদেশের সাথে থাকব।’