রবিবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি, জেলা সমাজকল্যাণ পরিষদ, প্রাকৃতিক ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন এবং উপজেলা সমাজকল্যাণ পরিষদের মধ্যে সারাদেশে ১ হাজার ১৯২টি ইউনিট অফিসে ২২.৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
ঢাকা জেলায় প্রায় ৩ কোটি টাকাসহ জেলাপ্রতি জনসংখ্যা ও দারিদ্রতার হার বিবেচনায় ২০ থেকে ৪০ লাখ পর্যন্ত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বিশেষ অনুদান হিসেবে জেলাপর্যায়ে ৩ কোটি টাকা বিতরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও উল্রেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এ অর্থের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলায় দুস্থ, অসহায়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, পথশিশুদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়া বাড়িতে অবস্থানের ঘোষণায় কর্মহীন হয়ে পড়া ঢাকা শহরের ৫০০ পরিবারকে প্রতিদিন ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পেয়াজ, আধা লিটার সয়াবিন তেল ও একটি করে সাবান প্রদান করা হবে।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে ৩ হাজার ৮৪টি দুস্থ ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এদিকে ঢাকা শহরের ভবঘুরে ও বাস্তুহীন মানুষদের করোনার ঝুঁকি হ্রাস ও আবাসন সহায়তা দানের লক্ষ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তর গৃহহীনদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রসমূহে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে জনসমাগম পরিহারের লক্ষ্যে দেশব্যাপী চলমান উন্মুক্ত পদ্ধতিতে বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামীনিগৃহিতা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতার নতুন সুবিধাভোগী বাছাই কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া নির্দিষ্ট দিনে ব্যাংক থেকে ভাতার অর্থগ্রহণের কারণে প্রচুর জনসমাগম এড়াতে সকল তফসিলি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে সপ্তাহে তিন বা ততোধিক দিনে ভাতার অর্থপ্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।