বুধবার রাতে সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিয়ে জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের করণীয় বিষয়ক এক অনলাইন মিটিংয়ে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তাই সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এবং কষ্ট নিবারণের দায়িত্ব আমাদের সবার।’
তিনি মানুষের পাশে থেকে করোনাসহ সব ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য মেয়রদের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী করোনা সংক্রমিত এলাকা পুরো লকডাউন না করে সাব জোনে ভাগ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ‘কোনো একটি ওয়ার্ডে যদি এক লাখ মানুষের বসবাস হয় এবং করোনায় ২০০ জন আক্রান্ত হন তাহলে এ ২০০ জন যে এলাকায় বাস করেন শুধু সেই এলাকাকে লকডাউন করলে কাজ করতে সহজ হবে।’
সাব জোনগুলোকে পরিচালনা করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি, মসজিদের ইমাম ও এনজিও কর্মীসহ সমাজসেবকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জোন বা সাব জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হলে স্থানীয়দের অন্তর্ভুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই।’
আরও পড়ুন: এলাকাভিত্তিক লকডাউনই সবচেয়ে উপযোগী: মন্ত্রী তাজুল
তিনি বলেন, লকডাউন এলাকার সুবিধাজনক স্থানে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলে তার মোবাইল নম্বর এলাকার জনসাধারণকে দিতে হবে। পরিস্থিতি অনুসারে জনসাধারণ নিজ থেকে সচেতনতা অবলম্বন করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তাজুল ইসলাম জানান, করোনা প্রতিরোধে রেড, ইয়োলো এবং গ্রিন জোন ঘোষণা করার এখতিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। জোন বা সাব জোন ঘোষণা করার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের নয়। জোনভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করার পর তা বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
মন্ত্রী মেয়রদের বলেন, নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার সাথে সভা বা যোগাযোগ করে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজন হলে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা গ্রহণ করার পরামর্শ দেন তিনি।