পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা ইউএনবিকে বলেন, ‘৪৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে কেবল করোনাভাইরাস আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেয়া হবে।’
‘যত দ্রুত সম্ভব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে নির্দিষ্ট করা হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়েগত ৫ মে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও ইমপালস হাসপাতাল একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করে।
পুলিশ সদরদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত দেশ পুলিশের ৯১৪ জন সদস্য করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশেরই (ডিএমপি) আছেন ৪৪৯ জন।
এছাড়া আইন প্রয়োগকারী এ সংস্থার ছয় সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মারা গেছেন।
বাংলাদেশে করোনাবাইরাস সংক্রমণ শুরুর সময় থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা সারা দেশে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে, চিকিৎসকদের ফোরাম বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত মোট ৬১২ জন চিকিৎসকও করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।
সরকার সাধারণ ছুটি বাড়ালেও রমজান এবং ঈদুল ফিতরের কথা বিবেচনা করে জনগণের চলাচল এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে অনেক নমনীয়তা দেখাচ্ছে।
সাধারণ ছুটির ১৬ মে অবধি স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বজায় রাখার শর্তে প্রতিদিন বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।