সকালে বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার ইউএনবিকে জানান, বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে বিজি ৭০০২ ফ্লাইট যোগে তাদের ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময়সূচি রয়েছে।
চীন থেকে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৩০১ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৫ জন শিশু রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বিশেষ বিমান যোগে বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরত আনার অনুমতি দেয় চীনের বিমান কর্তৃপক্ষ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ব্রিফিংয়ে জানান, ‘সেখানে (চীনে) বসবাসরত বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আসতে আমরা প্রস্তুত। চীন সরকারকেও আমরা এটি জানিয়েছি। তারা অনুমতি দিয়েছে...এখন আমাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে পারব।’
এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনে করোনাভাইরাসে নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১৩ জনে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নতুন মারা গেছেন ৪৩ জন। বেশিরভাগ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে হুবেই প্রবেশ ও তার রাজধানী উহানে। তবে চীনের বাইরে এখনও কেউ মারা যায়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ফেরত আসতে যাওয়া কোনো বাংলাদেশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে চীন সরকার নিশ্চিত করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, উহান থেকে ফেরত আসাদের পর্যবেক্ষণ করার জন্য আশকোনা হজ ক্যাম্পে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখা হবে।
বাংলাদেশিদের দেশে আনার পরের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওরা আসলে আমরা ওদের আলাদাভাবে রাখব এবং পর্যবেক্ষণ করব। আমাদের হাসপাতালে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে...এটা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভালো বলতে পারবেন। আনার দায়িত্ব আমাদের আর তারপরের দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪০০-৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উহানে আছেন। হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূল কেন্দ্র। চীন সরকার শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং আরও কয়েকটি শহরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে।
বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশিদের সাহায্যে একটি হটলাইন নম্বর +(৮৬)-১৭৮০১১১৬০০৫ খুলেছে।