সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৩৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২৮ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৪ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ১৮ জনের মৃত্যু এবং ৩৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৪৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ১৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে কোভিড শনাক্ত ১১ কোটি ২০ লাখ ছাড়িয়েছে
কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে ৭ এপ্রিল
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২.৬৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯১১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
এদিকে, কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১১ কোটি ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুসারে মারাত্মক এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ২৫ লাখের কাছাকাছি পোঁছেছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮৮ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ ৯১ হাজার ৮৫১ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৮২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ২ হাজার ৫৯৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সের সাথে করা চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন বিতরণে ইউনিসেফের সাথে কাজ করবে এমিরেটস
টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দেয়ার পরামর্শ
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ১০ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৬৩ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ২ লাখ ৫৭ হাজার ছাড়িয়েছে এবং ২ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মেক্সিকো ১ লাখ ৮১ হাজার ৮০৯ জনের মৃত্যু নিয়ে এ তালিকায় তিন নম্বরে থাকলেও রোগীর সংখ্যা নিয়ে আছে ১৩তম অবস্থানে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজারেরও বেশি মানুষ।
রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো- যুক্তরাজ্য (৪১ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি), রাশিয়া (৪১ লাখ ৪২ হাজারের বেশি), ফ্রান্স (৩৬ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি) ও স্পেন (৩১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি)।
এদিকে মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাজ্য (১ লাখ ২১ হাজার ৫৩৬ জন)। ইতালিতে ৯৬ হাজার ৩৪৮ জন, ফ্রান্সে ৮৪ হাজার ৭৬৪ জন ও রাশিয়ায় ৮২ হাজার ২৫৫ জন মারা গেছেন।