এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৫৩১ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৪৯৬ জনে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৭টি এবং আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৭৯৫টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২৫ লাখ ২৭ হাজার ১৩৪টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
নতুন যে ১৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১০ এবং নারী ৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৭৫১ জন বা ৭৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং নারী এক হাজার ৪২২ জন বা ২৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমকি ৪৩ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪৬২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমকি ৮০ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ১ হাজার ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৩২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬৭ জনে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- এদিন সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮৪ ব্যক্তি।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। লাফিয়ে বাড়ছে সেখানে সংক্রমণ ও মৃত্যু।
দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ১ কোটি ৭ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ২ লাখ ৪৪ হাজার ৩০২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পরে মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি রয়েছে ব্রাজিল ও ভারত। বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৮৭ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৮ জন। মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৫৮ লাখ ১০ হাজার ৬৫২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৩৭ জনের।