এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৩৯৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৩ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৯টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৫০৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১১ হাজার ১৭৬টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৯ লাখ ৭০ হাজার ২৫১টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২.৪৯ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮.৬০ শতাংশ।
নতুন যে ৩৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ এবং নারী আটজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ১০৪ জন বা ৭৭.৩৬ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ২০১ জন বা ২২.৬৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৪৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৬.০৫ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে শুক্রবার সকালে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে।
জেএইচইউ জানায়, বিশ্বের ১৮৮ দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪২ লাখ ৬৬২ জন এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১০ লাখ ২১ হাজার ৭০৯ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় ৭২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯১ জন আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৭ হাজার ৭৯১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে ৬৩ লাখ ১২ হাজার ৫৮৪ জন করোনার কবলে পড়েছেন এবং এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ৯৮ হাজার ৬৭৮ জন।
বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে নতুন করে ৮৬ হাজার ৮২১ জন আক্রান্ত এবং আরও ১ হাজার ১৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহামারিতে ভারতের জন্য সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ।
এদিকে, ভাইরাসটির পুনরুত্থানের ভয়ের মাঝে বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ সংকটকে গত মার্চে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে।