শনিবার সকালে নিউইয়র্কে মারা যাওয়া বাবা প্রকৌশলী খাইরুজ্জামান ও তার ছেলে আবুল বাশার পান্না চট্টগ্রামের হালিশহর এ-ব্লক ৮ নং লেনের স্থায়ী বাসিন্দা।
নিউইয়র্ক প্রবাসী সাংবাদিক শুভাশিষ বড়ুয়া ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাবা ছেলে দুজনই পরিবারের সাথে নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাস করতেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে সেখানকার কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বিশ্বে একদিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে আবারও করোনাভাইরাসের বিস্তার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাবা-ছেলেসহ গত এক মাসে নিউইয়র্কে সাতজন বাংলাদেশিরর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
অপর পাঁচজন হলেন- আবাসন ব্যবসায়ী গোলাম রহমান সেলিম (৪৬), চট্টগ্রাম কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ (৭৩), এলমহার্স্টের বাসিন্দা শেফালি বেগম (৫৫)। চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি আবদুল হাই জিয়া (৫৫), লং আইল্যান্ড হসপিটালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তৌফিকুল ইসলাম (৬২) (প্যাথলজিষ্ট)।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়াল
গত শনিবার পর্যন্ত নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে মৃত্যু বরণ করেছেন প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬০ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৩ জনে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীসহ সোমবার টিকার প্রথম ডোজ নেবেন বাইডেন
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ টিকা কোনো ‘জাদুর কাঠি’ নয়: ডব্লিউএইচও
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ১৩ হাজার ২৪৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।