বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সহকারী একান্ত সচিব আবদুল হাইয়ের ২ জুলাই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং পরে তাকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১২ জুলাই তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেয়া হয়।
মৃত্যুকালে আবদুল হাই স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
১৯৫৩ সালে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় জন্মগ্রহণ করা আবদুল হাই ছিলেন মিঠামইন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার। সেই সাথে তিনি ছিলেন মিঠামইনের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং হাজী তায়েব উদ্দীন হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও শিক্ষক।
তাকে শনিবার মিঠামইন উপজেলায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এদিকে, আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।